সন্দীপ সরকার, কল্যাণী: দ্বিতীয় নতুন বলে ম্যাজিক বাংলার। কল্যাণীতে (Bengal vs Haryana) বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির মাঠে হরিয়ানার দ্বিতীয় ইনিংশ শেষ হয়ে গেল ৩৩৬ রানে। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে বাংলার রক্ষাকর্তা সূরয সিন্ধু জয়সওয়াল (Suraj Sindhu Jaiswal)। নিলেন ৫ উইকেট। সব মিলিয়ে ম্যাচে ১১ উইকেট হয়ে গেল ডানহাতি মিডিয়াম পেসারের। বাংলার সামনে ম্যাচ জেতার জন্য লক্ষ্য ৩৬৯ রান। কল্যাণীতে থ্রিলারের অপেক্ষায় বাংলার (Ranji Trophy) ক্রিকেটপ্রেমীরা।


শনিবার প্রথমার্ধটা ছিল হরিয়ানার। এদিন সকাল থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে হরিয়ানা। প্রথম সেশনে ৩১ ওভারে ১৩৫ রান তুলে ফেলে তারা। ওভার প্রতি প্রায় সাড়ে চার রান করে তোলে তারা। হারায় মোটে তিন উইকেট। তার মাঝেই সূরয এক সময় ভারতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা জয়ন্ত যাদবের উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু বলটি নো হওয়ায় প্রাণরক্ষা হয় জয়ন্তর।


তৃতীয় দিন  লাঞ্চ বিরতিতেই ৩২৫ রানের লিড পেয়ে গিয়েছিল হরিয়ানা। ম্যাচ দেখতে আসা শ'খানেক ক্রিকেটপ্রেমী, যাঁরা শনিবার সকাল থেকে বাংলার সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছিলেন, তাঁদেরকেও যেন গ্রাস করেছিল হতাশা।


ছবিটা বদলাতে শুরু করল লাঞ্চ বিরতির পর বাংলা দ্বিতীয় নতুন বল নিতেই। হরিয়ানা তখন দ্বিতীয় ইনিংসে ৮৩.৩ ওভার ব্যাট করে ফেলেছে। স্কোর ৩১৭/৫। বাংলার অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার দ্বিতীয় নতুন বল নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। আর তারপরই সূরযের ম্যাজিক। 


৪৭ বলের মধ্যে হরিয়ানার বাকি ৫ উইকেটের পতন। আর মাত্র ১৯ রানের মধ্যে। শেষ পাঁচ উইকেটের মধ্যে চারটি সূরযের। হরিয়ানার যে দুই ব্যাটার প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন, সেই রোহিত শর্মা ও জয়ন্ত যাদবকে পরপর তুলে নেন সূরয। উইকেটকিপার রোহিত ২৮ রান করে ফেরেন। জয়ন্ত করেন ২৯ রান। ষষ্ঠ উইকেটে দুজনে গুরুত্বপূর্ণ ৫০ রান যোগ করেন।


৯২ রানে ৫ উইকেট সূরযের। মহম্মদ কাইফ নেন তিন উইকেট। বাকি ২টি উইকেট নিয়েছেন মুকেশ কুমার। তবে বাংলা শিবিরে উদ্বেগ তৈরি করে রাখলেন রোহিত কুমার। দুই ইনিংস মিলিয়ে ২৫ ওভার বল করেও উইকেটহীন ডানহাতি পেসার। তাঁর জন্যই চাপ বাড়ল বাংলার বাকি বোলারদের।


এবার পরীক্ষা ব্যাটিংয়ের। প্রথম ইনিংসে পারেনি। দ্বিতীয় ইনিংসে মোক্ষলাভ হবে?


আরও পড়ুন: হুইলচেয়ারে চেপে মাঠে, সৌরভ ভক্ত বিক্রমের স্বপ্ন লর্ডসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার