সন্দীপ সরকার, কল্যাণী: প্রবাদ রয়েছে, ভাগ্য সাহসীদের সঙ্গ দেয়। বাংলা ক্রিকেটারদের সাহসে ঘাটতি দেখে কী ভাগ্যলক্ষ্মীও মুখ ঘোরালেন?
কল্যাণীতে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাকাডেমির (Ranji Trophy) মাঠে হরিয়ানাকে চাপে ফেলার সুযোগ পেয়েও পারল না বাংলা। উল্টে শনিবার তৃতীয় দিন লাঞ্চ বিরতিতেই ৩২৫ রানের লিড পেয়ে গেল হরিয়ানা।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের শেষে ১৫৮/২ ছিল হরিয়ানার দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর। বাংলার চেয়ে ১৯০ রানের লিড পেয়ে গিয়েছিল তখনই। যদিও বাংলা শিবির আশায় ছিল, শনিবার সকালে প্রত্যাঘাত সম্ভব। বাংলার কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল বলেছিলেন, 'শনিবার সকালটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম সেশনে ওদের বাকি ৮টা উইকেট তুলে নিতে হবে। ১৯০ রানের লিড রয়েছে হরিয়ানার। আর ৭০-৮০ রানের মধ্যে ওদের ফেলে দিতে পারলে সরাসরি ম্যাচ জেতার সুযোগ এখনও রয়েছে।'
কোচ অলৌকিকের স্বপ্ন দেখলেও বাংলা শিবিরকে তা কতটা অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে, প্রশ্ন থেকে গেল। কারণ, শনিবার সকাল থেকে আগ্রাসী ব্যাটিং শুরু করে হরিয়ানা। প্রথম সেশনে ৩১ ওভারে ১৩৫ রান তুলে ফেলে তারা। ওভার প্রতি প্রায় সাড়ে চার রান করে তোলে তারা। হারায় মোটে তিন উইকেট।
তবে বাংলা ম্যাচে ফেরার সুযোগ পেয়েছিল। শনিবার সকালে এক সময় ৩৬ রানের মধ্যে ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলা। মাত্র ৮ ওভারের মধ্যে। ম্যাচে ফেরার আশায় ছিল বাংলা টিম ম্যানেজমেন্টও। বোলারদের সেই প্রত্যাঘাতে চতুর্থ উইকেটও পড়ে যেতে পারত হরিয়ানার।
আরও পড়ুন: হুইলচেয়ারে চেপে মাঠে, সৌরভ ভক্ত বিক্রমের স্বপ্ন লর্ডসে ক্রিকেট ম্যাচ দেখার
সেই সময়ই নো বল অভিশাপে মুষড়ে পড়ল বাংলার উদ্যম। ঠিক কী হয়েছিল? সূরয সিন্ধু জয়সওয়ালের বলে আউট হয়ে গিয়েছিলেন জয়ন্ত যাদব। সেই জয়ন্ত, যিনি এক সময় ভারতের হয়ে খেলেছেন। বাংলা শিবির উৎসবে মগ্ন। কিন্তু রিপ্লে দেখে আম্পায়াররা জানান, বলটি 'নো'। প্রাণরক্ষা হয় জয়ন্তর। নতুন করে উদ্যম পায় হরিয়ানাও। বাংলার বোলারদের কাঁধ যেন আরও ঝুলে পড়ল সেই ঘটনায়।
শনিবার ম্যাচের তৃতীয় দিনের লাঞ্চ বিরতিতে হরিয়ানার স্কোর ২৯৩/৫। উইকেটকিপার রোহিত শর্মা ১৮ রানে ও জয়ন্ত যাদব ১৪ রানে ক্রিজে রয়েছেন। বাংলার হাত থেকে ম্যাচের রাশ পুরোটাই ছিনিয়ে নেওয়ার পথে এলিট গ্রুপ সি-র শীর্ষে থাকা হরিয়ানা।
আরও পড়ুন: বিয়ের ২১ বছর পর ঘর ভাঙছে বীরেন্দ্র সহবাগের! স্ত্রী আরতির সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে জোর জল্পনা