বেঙ্গালুরু: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে 'সকালটা দেখেই বোঝা যায় সারা দিনটা কেমন যাবে'। বেঙ্গালুরু টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৪৬ রানে ভারত অল আউট হয়ে যাওয়ার পর অন্ততম মনে হয়েছিল এই ম্য়াচে আর কোনও আশা নেই। যদিও এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে সরফরাজ, পন্থদের দৌলতে খেলায় ফিরে এসেছিল ভারত। তবুও শনিবার শেষবেলায় কিউয়ি বোলারদের দাপটে ভারতের লোয়ার অর্ডারের দ্রুত ভাঙন ফের চাপে ফেলে দিয়েছিল। সেখান থেকে বেরিয়ে আসাটা সত্যিই কঠিন ছিল। তার অন্য়তম কারণ কিউয়িদের সামনে মাত্র ১০৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। পঞ্চম দিনে বৃষ্টি আর মিরাক্যাল ছাড়া ভারতের পক্ষে এই ম্য়াচ বের করা অসম্ভব ছিল। ঠিক সেটাই হল। সকালে বৃষ্টিতে খেলা দেরিতে শুরু হলেও লাঞ্চের বিরতির আগেই ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিল কিউয়ি ব্রিগেড। ১৯৮৮ সালের পর ফের ভারতের মাটিতে কোনও টেস্ট ম্য়াচ জিতল নিউজিল্যান্ড।
চতুর্থ দিনের শেষে কিউয়িদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০৭ রানের। হাতে ছিল ১০ উইকেট। এই পরিস্থিতিতে পঞ্চম দিনে বুমরা, সিরাজ, অশ্বিনদের দুরন্ত বোলিং পারফরম্য়ান্স একমাত্র জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারত। এছাড়া বৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে ম্য়াচে হার বাঁচানো যেত। এদিন শুরুতে বৃষ্টি হল। বেশ ভালই বৃষ্টি হল। কিন্তু তা বন্ধ হতেই খেলা শুরু হতে বেশি সময় লাগল না। এদিনের খেলার শুরুটা অবশ্য যেমনটা ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা চেয়েছিলেন, তেমনটাই হয়েছিল। টম ল্যাথামকে প্রথম দু বলের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফেরান বুমরা। বোর্ডে রান না যোগ করেই ফিরে যান কিউয়ি অধিনায়ক। এরপর কনওয়ে ও উইল ইয়ং মিলে স্কোরবোর্ড এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ধীরে ধীরে। তবে বুমরা ও সিরাজের বাউন্সার, নিঁখুত লাইন লেংথ বারবার সমস্যায় ফেলছিল ২ কিউয়ি ব্যাটারকেই। কিন্তু তাঁরা এই ম্য়াচ কোনওভাবেই হাত থেকে বেরিয়ে যাক, এমনটা চাইছিলেন না।
কনওয়ে ১৭ রান করে বুমরার দ্বিতীয় শিকার হন। যদিও বাকি সময়টা আর কোনও উইকেট ফেলতে পারেননি ভারতীয় বোলারারা। প্রথম ইনিংসে শতরান হাঁকানো রাচিন রবীন্দ্র এই ইনিংসেও অপরাজিত থাকলেন ৪৬ বলে ৩৯ রান করে। ৬টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অন্য়দিকে ইয়ং ৭৬ বলে ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন ৬টি বাউন্ডারি ও ১টি ছক্কার সাহায্য়ে। ২ ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ম্য়াচের সেরা হন রাচিন রবীন্দ্র।