অ্যাডিলেড: হল না শেষরক্ষা। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া (India vs Australia) দিন রাতের টেস্টে ১০ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া (Australia Cricket Team)। মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে রান তাড়া করতে নেমেছিল অজি ব্রিগেড। ম্য়াকস্যুইনি ও খাওয়াজার ওপেনিং জুটিই হেসেখেলে জয় এনে দিল দলকে। সিরিজেও ১-১ সমতা ফেরাল অজি শিবির। আর এই হারের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠাও প্রায় অসম্ভব হয়ে গেল ভারতের জন্য। মাত্র তিনদিনেই খেলা শেষ হয়ে গেল। প্রথম ইনিংসে দুরন্ত সেঞ্চুরির সুবাদে ম্য়াচের সেরা নির্বাচিত হলেন ট্রাভিস হেড।


ম্য়াচের প্রথম দিনেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। টস জিতে ব্য়াটিং নেওয়ার সিদ্ধান্তটাই কি কাল হল দলের জন্য়, এই ভাবনা নিঃসন্দেহে ভাবাবে রোহিত শর্মাকে। কারণ প্রথম দিনে বল রাতে একাই ভারতীয় ব্য়াটিংকে ধ্বংস করে দিয়ছিলেন মিচেল স্টার্ক। প্রথম বলেই জয়সওয়ালকে স্লোয়ারে বোকা বানানো শুরু। এরপর প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র ৪৮ রান খরচ করে। ভারতের হয়ে অভিজ্ঞ ২ ব্যাটার বিরাট ও রোহিত কেউই রান পাননি। কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা নীতিশ রেড্ডির ৪২ রানই দলের ব্যক্তিগত কারও সর্বোচ্চ রান। ১৮০ রানেই অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। 


অস্ট্রেলিয়া তার বদলে প্রথম ইনিংসে ৩৩৭ রান বোর্ডে তুলে নেয়। ট্রাভিস হেড ফের জ্বলে ওঠেন ভারতীয় বোলিং লাইন আপের সামনে। শুরুতে থিতু হয়ে খেললেও পরে অবশ্য ব্যাট চালানো শুরু করেন। ১৭টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে শেষ পর্য়ন্ত ১৪১ বলে ১৪০ রানের ইনিংস খেলেন বাঁহাতি অজি ব্যাটার। মার্নাস লাবুশেন তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন। 


দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামার আগে ১৫১ রানে পিছিয়ে ছিল ভারত। এই সময় দরকার ছিল একটা বড় পার্টনারশিপ। কিন্তু গোলাপি বলে অজি বোলিং লাইন আপের সামনে আরও একবার আত্মসমর্পণ করলেন ভারতের টপ অর্ডার। এই ইনিংসেও রান পাননি রোহিত ও বিরাট। রাহুল মাত্র ৭ রান করেন। পন্থ ও শুভমন ২৮ রান করেন। তবে আরও একবার লড়াই করলেন নীতিশ রেড্ডি। এই ইনিংসেও ৪২ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটারই রান পাননি। শেষ পর্যন্ত ১৭৫ রানে অল আউট হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়া। মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা ছিল, যা কোনও উইকেট না হারিয়েই তুলে নেয় অজিরা।