রাজকোট: জাতীয় দলে ব্রাত্য তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই রোহিত, বিরাটদের সঙ্গে আর ভারতের হয়ে খেলতে দেখা যায় না তাঁকে। তারুণ্যের অভিযানে সামিল হওয়া নির্বাচকরা হয়ত আর কখনও জাতীয় দলে তাঁকে ফেরানোর ভাবনাও রাখছেন না। কিন্তু বেঙ্গালুরু টেস্টে ভারতের হারের পরই ফের চেতশ্বর পূজারাকে জাতীয় দলে নেওয়ার দাবি উঠেছে। এবার নির্বাচকদের চাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন। সামনেই বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি। তার আগে রঞ্জি ট্রফিতে সেঞ্চুরি হাঁকালেন চেতেশ্বর পূজারা। সৌরাষ্ট্রের হয়ে ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে খেলতে নেমে দুরন্ত শতরান হাঁকালেন ডানহাতি এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। একই সঙ্গে টপকে গেলেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি ব্রায়ান চার্লস লারাকেও।
ছত্তিশগড়ের ৫৭৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমেছিল সৌরাষ্ট্র। ৮১ রান বোর্ডে তুলতেই ২ উইকেট খোয়ায় তারা। এরপর তিন নম্বরে ব্য়াট করতে নামা পূজারা দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। রঞ্জি ট্রফিতে নিজের ২৫ তম শতরানও পূরণ করেন তিনি। আর ঘরোয়া ক্রিকেটে এটি ছিল ৬৬ তম শতরান। ঘরোয়া ক্রিকেটে শতরানের সংখ্যার নিরিখেই ত্রিনিদাদের রাজপুত্রকে টেক্কা দেন পূজারা। লারার ঝুলিতে রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটে ৬৫ শতরান। ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকানোর সঙ্গে সঙ্গে পূজারা ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজের ২১ হাজার রানও পূরণ করে ফেলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চার নম্বরে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বাধিক রানের বিচারে। সুনীল গাওস্কর ঘরোয়া ক্রিকেটে ২৫,৮৩৪ রান করেছেন। সচিন তেন্ডুলকরের ঝুলিতে রয়েছে ২৫,৩৯৬ রান। রাহুল দ্রাবিড়ের ঝুলিতে আছে ২৩,৭৮৪ রান।
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ১৬টি প্রথম শ্রেণির ম্য়াচ খেলেছেন পূজারা। ৬টি শতরান হাঁকিয়েছেন। গত রঞ্জিতেও প্রচুর রান করেছিলেন। ৮ ম্য়াচে ৮২৯ রান করেছিলেন ৬৯ গড়ে। কিন্তু তবুও বয়সের জন্যই নির্বাচকরা তাঁর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া সফরের আগে মিডল অর্ডারে পূজারার অভিজ্ঞতার কথা ভেবে ফের সৌরাষ্ট্রের তারকাকে জাতীয় দলে ফিরিয়ে আনেন না কি নির্বাচকরা তা দেখার।
এদিকে, হৃদপিণ্ডের অপারেশনের পর ২২ গজে ফিরে শতরান হাঁকালেন যশ ধূল। দিল্লির হয়ে খেলতে নেমে তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করলেন অনূর্ধব ১৯ বিশ্বকাপজয়ী ভারত অধিনায়ক। ১০৩ রানের ইনিংস খেলেছেন যশ। তামিলনাড়ু বোর্ডে তুলেছিল ৬৭৪/৬। যার পরিবর্তে খেলতে নেমে দিল্লি ২৬৬ রানে প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়ে যায়। অন্যান্য ব্যাটাররা রান না পেলেও যশ ধূল দুরন্ত সেঞ্চুরি করেন।