সিউড়ি: ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অফ বেঙ্গলের আন্তঃজেলা টি-টোয়েন্টি মিটে চ্যাম্পিয়ন হল বর্ধমান ব্লুজ। দলের হয়ে জসূচক ঝোড়ো শতরানের ইনিংস খেলেন নিখিল সিনহা। তিনি মাত্র ৬৮ বলে ১৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ম্য়াচে। খেতাবি লড়াইয়ে নদিয়া ড্যাজলারকে ১৮০ রানে হারিয়ে দেয় বর্ধমান ব্লুজ। মঙ্গলবার সিউরিতে ফাইনাল ম্য়াচটি আয়োজিত হয়েছিল।


ম্য়াচ জেতানো ইনিংস খেলার পথে বর্ধমান দলের নিখিল ১৯টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়াও বর্ধমানের হয়ে অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন মোহিত রায়। প্রথম ব্যাটি করতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৪৬ রান বোর্ডে তুলেছিল। এরপর রান তাড়া করতে নেমে নদিয়া ড্যাজলার ১১.৪ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৬৬ রানই বোর্ডে তুলতে পারে। বর্ধমানের বোলারদের মধ্যে সুমন দাস ১৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। আজাজ আনসারি ২০ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট নেন। আবির চট্টােপাধ্যায় ৭ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন। 


এদিকে, বেঙ্গালুরুতে আজ রঞ্জি ট্রফিতে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে নামছে বাংলা। শক্তিশালী কর্ণাটক দলের রঞ্জিতে সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্স বেশ ভাল। রয়েছে টুর্নামেন্ট জয়ের কৃতিত্বও। মণীশ পাণ্ডেরা নিজেদের মাঠে যে একেবারেই সহজ প্রতিপক্ষ নয়, তা বলাই বাহুল্য। তবে পরিস্থিতি এমনই যে বাংলার জন্য সরাসরি জয় পাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বুধবার থেকে সেই লক্ষ্যেই নিজেদের চতুর্থ রঞ্জি ম্যাচে মাঠে নামছে লক্ষ্মীরতন শুক্লর কোচিংয়ে খেলা বাংলা। 


পরিবেশ বাংলাকে কোনওভাবেই সাহায্য করেনি। বিহার ও কেরলের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে খারাপ আবহাওয়া খেলায় বিঘ্ন ঘটিয়েছে। কল্যাণীতে যেখানে বিহারের বিরুদ্ধে মাঠে নামাই সম্ভব হয়নি, সেখানে যাদবপুরের সল্ট লেক ক্যাম্পাসের মাঠে কেরলের বিরুদ্ধে দুই দলের একটি করে গোটা ইনিংসও খেলা হয়নি। পরিণামে এক, এক দুই পয়েন্ট পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাকে। তাই কর্ণাটকের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ম্যাচটা অনুষ্টুপদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।


এই ম্যাচে নামার জন্য দলের সকলে বেশ আত্মবিশ্বাসী বলেই জানাচ্ছেন কোচ লক্ষ্মী। তিনি বলেন, 'আমরা দলগতভাবে কর্ণাটকের বিরুদ্ধে নিজেদের সেরাটা দিতে চাই। আশা করছি কাল থেকে শুরু হওয়া ম্যাচে বেশ ভাল ক্রিকেট দেখতে পাব।' তবে এই ম্যাচে কিন্তু দলের তারকা ত্রয়ী, অভিষেক পোড়েল, মুকেশ কুমার ও অভিমন্যু ঈশ্বরণকে পাবে না বাংলা। ভারতীয় 'এ' দলের হয়ে আপাতত তিনজনেই অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছেন। অভিমন্যুর অনুপস্থিতি মেটাতে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে ঋদ্ধিমান, সুদীপ চট্টোপাধ্যায়দের।