আমদাবাদ: অতীতে একাধিকবার তিনি বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছিলেন। তবে শতরানের গণ্ডি পার করতে পারেননি। তবে অবশেষে সেই গণ্ডি পার করলেন তিনি। আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে (IND vs WI) কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকালেন ধ্রুব জুরেল (Dhruv Jurel)। ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে সুযোগ পেয়ে, তা দুই হাতে লুফে নিলেন জুরেল। মাত্র ষষ্ঠ ভারতীয় কিপার-ব্যাটার হিসাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে শতরান হাঁকালেন তিনি। 

Continues below advertisement

ঋষভ পন্থের পরিবর্তে সুযোগ পেয়ে প্রথম ইনিংসে নিজের কিপিংয়ে একাধিক দুরন্ত টেক নেন জুরেল। এরপর ব্যাট হাতে মাঠে নামেন তিনি। ব্যাটে নেমেও নিজের পরিপক্ক ব্যাটিংয়ে নজর কাড়লেন জুরেল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১৯০ বলে নিজের কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকালেন তিনি।

শুভমন গিল ও কেএল রাহুলের জমাটি পার্টনারশিপের পর পাঁচ নম্বরে ব্য়াট করতে নামেন ধ্রুব জুরেল। তিনি কিন্তু দারুণ পরিপক্কতার সঙ্গে ব্যাটিং করেন। লাঞ্চের পরেই শতরান হাঁকানো কেএল রাহুল সাজঘরে ফিরলেও, জুরেল কিন্তু বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। দেখেশুনে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। জাডেজার সঙ্গে লম্বা পার্টনারশিপ গড়েন। পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কার সুবদে জুরেল ৯১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন।

Continues below advertisement

 

ওয়েস্ট ইন্ডিজ় বোলারদের এই সময় কার্যত অসহায়ই দেখায়। তিনি কোনওভাবেই একাগ্রতা ভঙ্গ না করে ইনিংসে এগিয়ে নিয়ে যান। আর দেখতে দেখতেই শতরানের গণ্ডিও পার করে ফেলেন তিনি। 

সহ-অধিনায়কত্বের কথা জানতেনই না জাডেজা!

ইংল্যান্ড সিরিজ়ে চোট লেগে ঋষভ পন্থের পায়ের হাড়ে চিড় ধরে। সেই চোট থেকে এখনও সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি ভারতের টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক। তারকা কিপার-ব্য়াটারকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সিরিজ়ে (INDvs WI) তাই ভারতীয় দলে রাখা হয়নি। তাঁর পরিবর্তে এই দুই ম্যাচের সিরিজ়ের জন্য ভারতের নতুন সহ-অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন রবীন্দ্র জাডেজা (Ravindra Jadeja)। তবে জাডেজা নাকি স্বয়ং এই বিষয়ে অবগতই ছিলেন না।

জাডেজা জানান তাঁকে সহ-অধিনায়ক করা হলেও, নির্বাচকরা নাকি তাঁকে এই বিষয়ে কিছু আগে থেকে জানাইনি। দল ঘোষণার পরে তাঁর নামের পাশে সহ-অধিনায়ক লেখা থাকা দেখে জাডেজা নিজেও বেশ খানিকটা চমকেই যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'ওরা আমায় এ বিষয়ে কিছু বলেইনি। দল যখন ঘোষণা করা হয়, তখনই আমি নিজের নামের পাশে সহ-অধিনায়ক লেখা দেখতে পারি। দিনের শেষে আমার যা অভিজ্ঞতা, সেইটুকু সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেব। দলের স্বার্থে এমনটা তো করতেই হয়।'