বেঙ্গালুরু: গত মাসেই নিজের কেরিয়ারে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন। ইংল্যান্ড সফরে পঞ্চম টেস্টে দলে যোগ দিলেও একাদশে সুযোগ মেলেনি বটে, তবে নারায়ণ জগদীশান (Narayan Jagadeesan) প্রমাণ করছেন কেন তাঁকে বদলি হিসাবে জাতীয় দলে ডাকা হয়েছিল। দলীপ ট্রফির (Duleep Trophy 2025) সেমিফাইনালে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে তামিলনাড়ুর কিপার-ব্যাটার উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে অনবদ্য শতরান হাঁকালেন। তাঁর ব্যাটে ভর করেই রানের পাহাড়ে দুই দিনের খেলাশেষে রানের পাহাড়ে দক্ষিণাঞ্চল। 

জগদীশানের ৪৭.৫ ব্যাটিং গড় এবং গত মরশুমে ৫৬-র গড়ে রঞ্জি ট্রফিতে ৬৭৪ রান তাঁর দক্ষতা প্রমাণের জন্য যদি যথেষ্ট না হয়, তাহলে তিনি আবারও এদিন নিজের দক্ষতা প্রমাণ করলেন। জগদীশান ওপেন করতে নেমে প্রথমে তন্ময় আগরওয়াল এবং পরে দ্বিতীয় উইকেটে দেবদত্ত পাড়িক্কালের সঙ্গে শতরানের পার্টনারশিপ গড়েন। ম্যাচের প্রথম দিনে ফাস্ট বোলিং সহায়ক পিচে গত ম্য়াচে ইতিহাস গড় আকিব নবি এবং অংশুল কম্বোজ গোলাগুলি সামলে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের অষ্টম শতরান হাঁকিয়েছিলেন জগদীশান। দ্বিতীয় দিনে নিশ্চিত দ্বিশতরানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন জগদীশান। তবে মাত্র তিন রানের জন্য অভিজ্ঞ তারকার দ্বিশতরান হাতছাড়া হয়।

রিকি ভুইয়ের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির জেরে লাঞ্চের আগেই রান আউট হন জগদীশান। নিশান্ত সিন্ধু (Nishant Sindhu) তাঁকে রান আউট করেন। সম্ভবত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি রান আউটের মাধ্য়মে অর্জন করার পাশাপাশি বল হাতেও কিন্তু নিশান্তই উত্তরাঞ্চলের একমাত্র 'ব্রাইট স্পট'। বাঁ-হাতি স্পিনার উত্তরাঞ্চলের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বাধিক ৪৭.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১২৫ রানের বিনিময়ে পাঁচ উইকেট নেন।

দক্ষিণাঞ্চলের লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের সাজঘরে ফেরান নিশান্ত। তবে তার আগে দক্ষিণাঞ্চলের লোয়ার অর্ডার বেশ লড়াই চালায়। জগদীশানের পাশাপাশি ব্যাট হাতে দ্বিতীয় দিন ছয় নম্বরে ব্যাটে নেমে রিকি ভুই এবং আট নম্বরে নামা তনয় অর্ধশতরান হাঁকান। তাঁদের সংগ্রহ যথাক্রমে ৫৪ ও ৫৮ রান। সলমন নিজ়ার ও গুরজনপ্রীতও উভয়েই ২৯ রানের ইনিংস খেলে দক্ষিণাঞ্চলকে পাঁচশো রানের গণ্ডি পার করতে সাহায্য করেন। শেষমেশ ৫৩৬ রানে তাঁদের ইনিংস শেষ হয়। দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে প্রথম দেবদত্ত পাড়িক্কালও ৫৭ রানের ইনিংস খেলে বেশ নজর কাড়েন। উত্তরাঞ্চলের হয়ে বল হাতে নিশান্ত সিন্ধুর পাঁচ উইকেট ছাড়া ইংল্যান্ড সফরে ভারতের হয়ে অভিষেক ঘটানো অংশুল কম্বোজ দুই উইকেট নেন।