লন্ডন: হেডিংলেতে হারের পর এজবাস্টনে দুরন্ত জয় দিয়ে সিরিজ়ে ফিরেছে ভারতীয় দল। এমন পরিস্থিতিতে আর কয়েক ঘণ্টা পরেই লর্ডসের মাঠে তৃতীয় টেস্টে (ENG vs IND 3rd Test) নামছে ভারত ও ইংল্যান্ড। ভারতীয় দলে এই ম্যাচে যশপ্রীত বুমরার ফেরার সম্ভাবনা প্রবল। ইংল্যান্ডও (England Cricket Team) কিন্তু এক হারের পরেই দলে বদল ঘটিয়ে ফেলল। লর্ডসে থ্রি লায়ান্সের হয়ে প্রত্যাবর্তন ঘটাচ্ছেন তারকা ফাস্ট বোলার, তাও আবার চার বছর পর। কে তিনি? তিনি জোফ্রা আর্চার (Jofra Archer)।

বল হাতে জোফ্রার আগুনে গতি ও আগ্রাসন যে কোনও দলের সম্পদ। কিন্তু চোট আঘাতের জেরে তাঁকে দীর্ঘদিন টেস্ট দলের বাইরে থাকতে হয়েছিল। এজবাস্টনেই দলের সঙ্গে আর্চার যোগ দিলেও, তাঁকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য খানিকটা সময় দেওয়ার লক্ষ্যেই একাদশে রাখা হয়েছিল না বলে স্টোকরা জানিয়েছিলেন। তবে এক ম্য়াচ পরেই তিনি ফিরলেন একাদশে। ম্যাচের আগেই কিন্তু ইংল্যান্ড নিজেদের একাদশ ঘোষণা করে দেয়। সেই ধারাই বজায় রেখে নিজেদের একাদশ জানিয়ে দিল ইংল্যান্ড।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শেষবার ইংল্যান্ডের হয়ে লাল বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন আর্চার। তারপর লর্ডসে ভারতের বিরুদ্ধে অবশেষে তাঁর বহুকাঙ্খিত প্রত্যাবর্তন ঘটল। ইংল্যান্ড দলে বদল বলতে এই একটাই। জস টাংয়ের পরিবর্তে আর্চারকে দলে নেওয়া হয়েছে। গত টেস্টে হারের পরেই অবশ্য আর্চারের কামব্যাকের আভাস দিয়ে রেখেছিলেন ইংল্য়ান্ড কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম।

তিনি বলেছিলেন, 'ও (আর্চার) নিঃসন্দেহেই নির্বাচনের জন্য উপলব্ধ। আমাদের ফাস্ট বোলাররা পরপর দুই ম্যাচ খেলেছে এবং পরের টেস্টের আগে সময় অত্যন্ত কম রয়েছে। আমরা এই ম্যাচটা ভুল যেতে চাই। তবে জোফ্রাকে ফিট, শক্তিশালী ও মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। ওকে দলে নেওয়ার জন্য কথাবার্তা বলা হবে। টেস্ট ক্রিকেটে ও কী করতে পারে, সেটা আমরা সকলেই জানি।'

এজবাস্টনের পাটা পিচে হারের পর লর্ডসে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ফাস্ট বোলিং সহায়ক পিচের অনুরোধ করেছে বলে শোনা যাচ্ছে। পিচের প্রথম প্রকাশিত ছবিতেও তেমনই পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছে। এমসিসির প্রধান মাঠ প্রস্তকারক কার্ল ম্যাকডারমট জানান ইংল্যান্ড কোচ ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম চান, 'এমন পিচ যাতে আরেকটু গতি থাকবে, বাউন্স থাকবে এবং বল একটু স্যুইংও করবে।' অনেকটা গত মাসের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের মতোই পিচের আবদার করেছে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। এমন পরিস্থিতিতে আর্চারের বাড়তি গতিকে যে কাজে লাগাতে আগ্রহী স্টোকসরা, তা কিন্তু বলাই বাহুল্য়।