করাচি: পাকিস্তান ক্রিকেটে টালমাটাল অব্যাহত। এবার পাক ক্রিকেট বোর্ডকেই একহাত নিলেন দলের সাদা বলের ফর্ম্য়াটের তারকা ওপেনার ফাখর জামান। ইংল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে দলের তারকা ব্যাটার বাবর আজমকে। মূলত খারাপ ফর্মের জন্যই বাদ পড়েছেন প্রাক্তন পাক অধিনায়ক। এরপরই সোশ্য়াল মিডিয়ায় অনেকেই বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এবার সেই তালিকায় ফাখর জামানও। জাতীয় দলে বাবরের সতীর্থ ফাখর উদাহরণ হিসেবে বিরাট কোহলির কথা বলেছেন।
বাঁহাতি পাক ওপেনার এক্ষেত্রে বলেছেন, ''এটা সত্যিই খুব কড়া সিদ্ধান্ত পিসিবির। আমি জানি না কেন বাবরকে বাদ দেওয়া হল। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড কিন্তু কখনও বিরাটকে বাদ দেয়নি ওঁর খারাপ সময়ও। ২০২০ থেকে ২০২৩ সময়টা বিরাটের গড়ও খুবই খারাপ ছিল। সেই সময় কোহলির গড় ছিল যথাক্রমে ১৯.৩৩, ২৮.২১, ২৬.৫০। ওঁরা ওঁদের সেরা ব্যাটারকে তবুও বসায়নি। কিন্তু আমরা আমাদের দলের সবচেয়ে সেরা ব্যাটারকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে দিলাম ওঁর খারাপ সময়ে। খুব ভুল যদি না বলি পাকিস্তান ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম সেরা ব্যাটার বাবর। অথচ ওঁকে বাদ দেওয়া হল দল থেকে। এটা নিশ্চিতভাবে দলের জন্য বাজে বার্তা পৌঁছাবে। আমার মনে হয় আমাদের নিজেদের দলের সেরা প্লেয়ারের পাশে থাকা উচিৎ তাঁর খারাপ সময়ে। নইলে এতে মনোবল আরও নষ্ট হবে।''
উল্লেখ্য, মুলতান টেস্টে পাঁচশোর ওপর রান বোর্ডে তুলেও হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে। আর সেই ম্য়াচে পাকিস্তানের যাঁরা যাঁরা পারফর্ম করতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে সবার ওপরের দিকে ছিল বাবরের নাম। সূত্রের খবক, প্রাক্তন পাক অধিনায়ককে ফের ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালে শেষবার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছিলেন বাবর। শুধু বাবরই নন। বাদ দেওয়া হয়েছে শাহিন শাহ আফ্রিদিকেও।
আগামী মঙ্গলবার ১৫ অক্টোর থেকে শুরু হতে চলেছে পাকিস্তান বনাম ইংল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্টে। সূত্রের খবর, কোচ গ্যারি কার্স্টেন ও অধিনায়ক শান মাসুদের উপস্থিতিতেই বাবরকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রথম টেস্টের পর বাবরের খারাপ পারফরম্য়ান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। সেখানে প্রাক্তন পাক অধিনায়কের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শান মাসুদ। কিন্তু এটাও সত্যি যে ২০২২ সালের পর থেকে কোনও অর্ধশতরানও নেই বাবরের টেস্ট কেরিয়ারে।