করাচি: ভারতের প্রবল চাপের মুখে ফের পিছু হটেছে পাকিস্তান। আর সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন নয়, ভারতীয় সেনার ডিজিএমও-কে জানিয়েছেন পাক সেনার ডিজিএমও। কিন্তু এরমধ্য়েই পাকিস্তানের কয়েকটি ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে সে দেশের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বিজয় মিছিলে বেরিয়েছেন সেখানকারা মানুষরা। আর সেই মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন পাক অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি। নিজের দেশের আর্মি ও সেনাবাহিনীর প্রশংসা করে বিজয় মিছিলে হেঁটেছিলেন আফ্রিদি।
একটি ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে যে আফ্রিদি পাকিস্তানি আর্মি ফাের্সকে 'Unbreakable' বলেছেন। পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে আফ্রিদি বলেছেন, ''আমাদের আর্মি ফোর্স দেখিয়ে দিয়েছে তারা কতটা শক্তিশালী। ভারত আমাদের ছোট করে দেখেছিল। ওদের কোনও ধারণা নেই য আমাদের সেনাবাহিনীর ক্ষমতা, স্কিল ও টেকনোলজি সম্পর্কে। একটা যুদ্ধ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। গোটা বিশ্ব দেখতে পাবে যে কারা বেশি শক্তিশালী।''
নরেন্দ্র মোদিকেও খোঁচা দিয়ে আফ্রিদি বলেছেন, ''মোদিজী আপনি ভারতীয় ক্রিকেট দলকে আমাদের দেশে খেলার অনুমতি দেন না। এটা কেমন মানসিকতা? এর ফলে আমাদের নিয়ে ভারতে একটা ঘৃণা জন্ম নিয়েছে।''
অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথমবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় এভাবেই কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাফ জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসে মদত দেওয়া দেশকে একই নজরে দেখে ভারত। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে, এটা যেমন যুদ্ধের সময় নয়, তেমনই সন্ত্রাসবাদেরও সময় নয়। ভারতে হামলা হলে প্রত্যাঘাত হবেই। সন্ত্রাসবাদের ক্ষেত্রে সবসময় জিরো টলারেন্স দেখাবে ভারত। নরেন্দ্র মোদি এও বলেছেন যে, অপারেশন সিঁদুর শেষ হয়নি। পাকিস্তানের প্রতিটি পদক্ষেপে নজর রয়েছে ভারতের। আপাতত জবাব দেওয়া স্থগিত রাখা হয়েছে। কিন্তু সবদিক থেকে রাখা হয়েছে কড়া নজর।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রভাব এখন কেবল সীমান্তেই সীমাবদ্ধ নেই, এর প্রতিধ্বনি এখন ডিজিটাল বিশ্বেও শোনা যাচ্ছে। রিপোর্ট বলছে, "অপারেশন সাইবারশক্তি" নামে একটি সাইবার অভিযানের আওতায় ভারতীয় হ্যাকাররা পাকিস্তানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট এবং অনলাইন সিস্টেমকে থমকে দিয়েছে।
এটি ভারতীয় "ভিজিল্য়ান্ট" হ্যাকারদের দিয়ে পরিচালিত একটি অনানুষ্ঠানিক সাইবার অভিযান। যেখানে দাবি করা হয়েছে, এই ডিজিটাল ওয়ার কোড ও কীবোর্ডের মাধ্যমে লড়াই করা হচ্ছে। যেখানে পাকিস্তানের অনেক সরকারি ও প্রতিরক্ষা সম্পর্কিত ওয়েবসাইটকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, ফিশিং, ডেটা ব্রিচ ও ওয়েবসাইট বিকৃত করার মতো হাই-প্রোফাইল সাইবার আক্রমণ এই অভিযানে ব্যবহার করা হয়েছে। এই অভিযানের পিছনে কোনও সরকারি সংস্থা নেই, বরং এটি একটি স্বাধীন হ্যাকিং গ্রুপ, যারা সীমান্তে চলমান কার্যকলাপের ডিজিটাল প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে।