দিল্লি: ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে প্রত্যেক দলই তাঁদের প্লেয়ারদের ওয়ার্কলোড ম্য়ানেজমেন্টের দিকে বেশি করে নজর রেখেছে। ভারতীয় দলও তাঁদের পেস বোলিং বিভাগের মূল অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাকে নিয়ে সজাগ রয়েছে। আগামী বছর আয়োজিত হতে চলা মেগা টুর্নামেন্টে যাতে পুরোটাই বুমরাকে পাওয়া যায় তার জন্য আপাতত ওয়ান ডে সিরিজে খেলানো হচ্ছে না তারকা পেসারকে। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি সিরিজে প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বুমরাকে খেলানো হলেও তৃতীয় ম্য়াচ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল ডানহাতি পেসারকে।
জিও হটস্টারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুমরার ওয়ার্কলোড ম্য়ানেজমেন্ট নিয়ে মুখ খুললেন রবিন উথাপ্পা। ২০০৭ সালের টি-টােয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য বলেন, ''বুমরা প্রকৃত অর্থেই একজন ম্য়াচ উইনার। এই পরিস্থিতিতে ওর ওয়ার্কলোড ইস্যু একটা বড় বিষয়। ফাস্ট বোলিং ক্রিকেটের মধ্যে সবচেয়ে কঠিন একটা স্কিল। আর বুমরা বছরের পর বছর সেই কাজটা দুর্দান্তভাবে করে আসছে। অবশ্যই ওকে ফিট রাখাটা প্রয়োজন। আবার একই সময়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে বুমরা যেন কিছু ম্য়াচ খেলার সুযোগও পায়, সেদিকেও খেয়ার রাখতে হবে। ম্য়াচ ফিট থাকাটাও প্রয়োজন।''
গম্ভীরকে কোচ মানছেন না কপিল দেব
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ০-২ ব্যবধানে হারের পর গম্ভীর ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে সমালোচনার মুখে পড়েছেন এবং খেলোয়াড়দের ক্রমাগত রোটেশন ও কাজ চালানোর মতো খেলোয়াড়দের উপর নির্ভর করার তাঁর কৌশলের সমালোচনা হয়েছে। যা নিয়ে কপিল বলেছেন যে, সমকালীন ক্রিকেটে 'কোচ' শব্দটিকে প্রায়শই ভুল বোঝা হয়। কপিল ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্স (ICC) শতবর্ষের অধিবেশনে বলেন, 'আজ যে শব্দটিকে কোচ বলা হয়... 'কোচ' আজ খুব সাধারণ শব্দ। গৌতম গম্ভীর কোচ হতে পারে না। তিনি দলের ম্যানেজার হতে পারে।' তিনি বলেন, 'যখন আপনি কোচ বলেন তখন কোচ তিনি হন যাঁর কাছ থেকে আমি স্কুল ও কলেজে শিখি। তাঁরা আমার কোচ ছিলেন। তাঁরা আমাকে পরিচালনা করতে পারেন।'
কপিল বলেন, 'আপনি কোচ কী করে হতে পারেন। গৌতম লেগস্পিনার বা উইকেটকিপারের কোচ কী করে হতে পারে?' তিনি বলেন, 'আমার মনে হয় আপনাকে পরিচালনা করতে হবে। এটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একজন ম্যানেজার হিসেবে আপনি তাঁদের উৎসাহিত করেন যে, আপনি এটা করতে পারেন কারণ যখন আপনি ম্যানেজার হন তখন তরুণ ছেলেরা আপনাকে বিশ্বাস করে।'