মুম্বই: ১৯ নভেম্বর, ২০২৩। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য অত্যন্ত বেদনাদায়ক একটি দিন। সেদিনই ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার (Indian Cricket Team) ও ১৪০ কোটি দেশবাসীর। ঘরের মাঠে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আসর। ২০১১ সালের পর ফের বিশ্বজয়ের হাতছানি ছিল। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টে ভাল খেলেও তীরে এসে তরী ডুবেছিল। সেই দলেরই অধিনায়ক ছিলেন রোহিত শর্মা (Rohit Shrama)। ফাইনালে অজিদের বিরুদ্ধে হারের স্মৃতি এখনও টাটকা হিটম্য়ানের কাছে। পরের বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতলেও, এই বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতলেও বিশ্বকাপ না জেতার আফশোস এখন কুড়ে কুড়ে খায় প্রাক্ত ভারত অধিনায়ককে। এমনকী একটা সময় তো হতাশায় ক্রিকেটও ছেড়ে দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন তিনি। 

Continues below advertisement

সেই ম্য়াচে প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে ২৪০ রান বোর্ডে তুলেছিল ভারত। অস্ট্রেলিয়া রান তাড়া করতে নামার পর দ্রুত তাদের দুটো উইকেটও ফেলে দিতে পেরেছিলেন ভারতীয় বোলাররা। কিন্তু ট্রাভিস হেডের শতরানমার্নাস লাবুশেনের অর্ধশতরান ভারতের জয়ের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। মাস্টার্স ইউনিয়ন কনভোকেশনে এসে রোহিত বলছেন, ''আমার একমাত্র লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপ জেতা। তা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ হোক বা ৫০ ওভারের ফর্ম্য়াটে হোক। তা না হওয়ায় বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। শরীরে আর কোনও শক্তি বেঁচে ছিল না। টানা দুটো মাস লেগেছিল ধাক্কা থেকে ফিরে আসতে।''

Continues below advertisement

সেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্য়াচে ভারতের সামনে পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্য়াচে কে এল রাহুলের ব্যাটিং বাঁচিয়েছিল রোহিতের দলকে। কিন্তু টানা ১০ ম্য়াচ জয়ের পর ফাইনালে হারটা সত্যিই হতাশা গ্রাস করেছিল গোটা মেন ইন ব্লুজ শিবিরকে। রোহিতের কথায়, ''সেই বিশ্বকাপের পর দলের প্রত্যেকেই খুব হতাশ হয়ে পড়েছিল। যা হয়েছিল বিশ্বাসই করতে পারছিলাম না। ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে খুব কঠিন সময় ছিল। প্রতিযোগিতার দু’-তিন মাস আগে থেকে নয়, ২০২২-এ অধিনায়ক হওয়ার পর থেকেই বিশ্বকাপকে পাখির চোখ করেছিলাম আমি। কিন্তু পারিনি।''

দু বছর পর ফের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ রয়েছে। সেই টুর্নামেন্টে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিকেও শেষবারের মত বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা যাবে। অধিনায়ক হিসেবে না হোক কেরিয়ারে একটি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া থাকবেন হিটম্য়ান। সেই মতই নিজে ঘরোয়া ক্রিকেটেও খেলছেন রোহিত।