কটক: ব্যাট হাতে শুরুটা বেশ নড়বড়ে হয়েছিল। তবে কটকে বোলিংয়ে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে (India vs South Africa) কার্যত নাকানি চোবানি খাওয়ালেন ভারতীয় বোলাররা। কী স্পিনার, কী ফাস্ট বোলার, ছয়জন বোলিং করে এদিন প্রত্যেকেই সাফল্য পেলেন। ১৭৫ রান ডিফেন্ড করতে নেমে ৭৪ রানেই প্রোটিয়াদের গুটিয়ে পাঁচ ম্য়াচের সিরিজ়ে এগিয়ে গেল ভারত। এটাই কিন্তু আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার নিম্নতম স্কোরও বটে।

Continues below advertisement

বোলিংয়ে বরাবরই নতুন বলে উইকেট নিতে সিদ্ধহস্ত অর্শদীপ সিংহ। এই ম্য়াচেও তিনি প্রথম ওভারেই কুইন্টন ডিককে সাজঘরে ফেরান। তিনে নামা ট্রিস্টান স্টাবস এবং এডেন মারক্রামের কাঁধে ইনিংস সামলানোর দায়িত্ব পড়ে। তবে অর্শদীপই স্টাবসকে ১৪ রানে ফেরান। বল হাতে নিয়েই মারক্রামকে ফেরান অক্ষর পটেল। অপরদিকে, অর্শদীপ থাকায় এই ম্যাচে নতুন বল পাননি হার্দিক পাণ্ড্য। তাতে কী! পাওয়ার প্লে শেষের পর  বল হাতে নিয়ে তিনিও সাফল্য  পান। ডেভিড মিলারকে আউট করেন তিনি। 

টেস্টে জানসেনের ব্যাটিং ভারতকে বেগ দিয়েছিল। এই ম্যাচে দুই ছক্কা মেরে শুরুটা ভালই করেছিলেন। বরুণ চক্রবর্তীকে লম্বা ছক্কাও মারেন তিনি। তবে ঠিক পরের বলেই বরুণ তাঁর উইকেট ভেঙে দেন। এরপরে দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ ভরসা ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে আউট করে নিজের শততম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি উইকেটটি নিয়ে ফেলেন বুমরা। তিনিই প্রথম ভারতীয় হিসাবে তিন ফর্ম্য়াটে ১০০টি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব নিজের নামে করেন। একই ওভারে কেশব মহারাজও সাজঘরে ফেরেন।

Continues below advertisement

এরপরে দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজয়টা ছিল কেবল সময়ের অপেক্ষা। পরের দুই ওভারে অক্ষর এবং শিবম দুবে একটি করে উইকেট নিয়ে প্রোটিয়া ইনিংস ৭৪ রানে গুটিয়ে দেন।

এর আগে ভারত ব্যাট হাতে শুরুটা ভাল করেনি। নতুন বলে লুঙ্গি এনগিদির দাপটে দুই ওপেনারই দ্রুত সাজঘরে ফিরেছিলেন। ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই তিন উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল ভারত। সেখান থেকে নিজের কামব্যাক ম্যাচে ত্রাতা হয়ে উঠলেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। মাত্র ২৫ বলে নিজের কেরিয়ারের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান হাঁকালেন তিনি। তাঁর অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করেই কটকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তোলে ভারত। হার্দিকের এই ইনিংসই কিন্তু ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দিল।