কটক: নতুন বলে লুঙ্গি এনগিদির দাপটে দুই ওপেনারই দ্রুত সাজঘরে ফিরেছিলেন। ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই তিন উইকেট হারিয়ে কার্যত ধুঁকছিল ভারত। সেখান থেকে নিজের কামব্যাক ম্য়াচে ত্রাতা হয়ে উঠলেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। মাত্র ২৫ বলে নিজের কেরিয়ারের ষষ্ঠ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অর্ধশতরান হাঁকালেন তিনি। তাঁর অপরাজিত ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করেই কটকে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে (IND vs SA 1st T20I) নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটের বিনিময়ে ১৭৫ রান তুলল ভারত।   

Continues below advertisement

এদিন ফের একবার টস হারে ভারত। চলতি সিরিজ়ে পঞ্চমবার। টস হেরে প্রথম ব্যাটিং করতে নামতে হয় ভারতীয় দলকে। প্রোটিয়াদের হয়ে অধিনায়ক এডেন মারক্রামের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে প্রথম ওভারে শুভমন গিলকে ফেরান লুঙ্গি এনগিদি। মাত্র চার রানে আউট হন তিনি। নিজের পরের ওভারে সূর্যকুমার যাদবের বিরুদ্ধে ছক্কা হজম করেন এনগিদি। কিন্তু ঠিক তার পরের বলেই তাঁকেও সাজঘরে ফেরেন প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার।

গিলের ওপেনিং পার্টনার অভিষেক শর্মাও দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হননি। সিপামলার বোলিংয়ে তিনি ১৭ রানে সাজঘরে ফিরলে ৪৮ রানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। এমন পরিস্থিতিতে অক্ষর পটেল এবং তিলক বর্মা ইনিংস পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করেন। দুইজনে রান এগিয়ে নিয়ে গেলেও, রানরেট ছিল বেশ কম। এই রান রেট বাড়াতে গিয়েই এনগিদির তৃতীয় শিকার হন তিলক বর্মা। ৩২ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপরেই ছয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামে হার্দিক পাণ্ড্য।

Continues below advertisement

শুরু থেকেই দুরন্ত ছন্দে দেখায় হার্দিক। সৈয়দ মুস্তাক আলিতে বঢোদরার হয়ে দুরন্ত ইনিংসে দলকে জিতিয়েছিলেন হার্দিক, এই ম্যাচেও নেমে আগ্রাসী ছন্দেই ব্যাট করতে থাকেন তিনি। কখনও অক্ষর, কখনও শিবম দুবে নিয়ে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তারকা অলরাউন্ডার। তবে বাকি দুই অলরাউন্ডারের কেউই বেশিক্ষণ তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি। অক্ষর ২৩ ও দুবে ১১ রানে সাজঘরে ফেরেন। পরিস্থিতিবুঝে ব্যাট চালান হার্দিক। ছক্কা মেরে পূরণ করেন অর্ধশতরান। 

ঘটনাক্রমে ওই ছক্কার সুবাদেই মাত্র চতুর্থ ভারতীয় ব্য়াটার হিসাবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১০০টি ছক্কা মারার লিস্টে নাম লিখিয়ে ফেলেন হার্দিক। এবার দেখার তাঁর ব্যাটিং দৌরাত্ম্য ভারতীয় দলকে ম্য়াচ জেতাতে সাহায্য করে কি না।