চণ্ডীগড়: নিজের জীবন বাজি রেখে প্রাণ বাঁচিয়েছেন ঋষভ পন্থের। দিল্লি-দেহরাদূন হাইওয়ের ওপর তখন দুমড়ে মুচড়ে পড়ে ছিল বহুমূল্য গাড়িটি। দুর্ঘটনার পরই গাড়িতে আগুন লেগে যায়। যা দেখে তড়িঘড়ি বাস দাঁড় করিয়ে দেন সুশীল মান। হরিয়ানা রোডওয়েজের পক্ষ থেকে তাঁদের ড্রাইভার সুশীল কুমার এবং কন্ডাক্টর পরমজিতকে সম্মানিত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও সম্মানিত করা হবে এই ২ জনকে। 


হরিয়ানা রোডওয়েজের পক্ষ থেকে এক বিবৃততিতে জানানো হয়েছে, ''ওঁরা পানিপথ ফিরে আসার পর আমরা ওঁদের সংশাপত্র দিয়েছি। এছাড়াও একটি শিল্ড দেওয়া হয়েছে।''


সুশীল মান জানতেনই না যে, তিনি যাঁর প্রাণরক্ষা করেছেন, তিনি একজন সেলিব্রিটি। ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্য। দেশকে জিতিয়েছেন একাধিক ম্য়াচ। অনেকে ভবিষ্যতের অধিনায়ক হিসাবেও চিহ্নিত করেছেন।


ঋষভ পন্থের ভয়াবহ দুর্ঘটনার পরই ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁর প্রাণরক্ষা করেন সুশীল। যে কারণে তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার তথা জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান ভি ভি এস লক্ষ্মণ। তিনি ট্যুইটারে লিখেছেন, 'হরিয়ানার চালক সুশীল কুমার, যিতি জ্বলন্ত গাড়ি থেকে ঋষভ পন্থকে বার করে এনে বিছানার চাদরে জড়িয়ে অ্যাম্বুলেন্সে খবর দিয়েছিলেন, তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আপনার নিঃস্বার্থ কাজের জন্য আমরা ঋণী'।


কেমন আছেন পন্থ?


উদ্বেগে ছিল তামাম ভক্তকুল। তবে রাতের দিকে এল কিছুটা স্বস্তির খবর। জানা গেল, ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) মস্তিষ্কে কোনও ক্ষতি হয়নি। যা শুনে যেন স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। 


শুক্রবার সকালে উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হন পন্থ। তাঁর মস্তিষ্ক আর মেরুদণ্ডের এমআরআই স্ক্যান করা হয়েছিল। সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছেন চিকিৎসকেরা। জানা গিয়েছে, মস্তিষ্ক ও মেরুদণ্ড স্বাভাবিক রয়েছে। গুরুতর কোনও চোট নেই। পাশাপাশি তাঁর মুখের ক্ষতস্থানে প্লাস্টিক সার্জারি করা হয়েছে এদিনই।


তবে পন্থের হাঁটু ও গোড়ালির এমআরআই স্ক্যান করা যায়নি এদিন। কারণ, দুটি জায়গাই অসম্ভব ফুলে রয়েছে। রয়েছে যন্ত্রণাও। ফোলা ভাব কিছুটা না কমলে স্ক্যান করা যাবে না। দেহরাদূনের ম্যাক্স হাসপাতালের চিকিৎসকও তাঁর হাঁটু ও গোড়ালির চোট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তবে হাসপাতাল থেকে দেওয়া বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, পন্থ স্থিতিশীল। তাঁর জ্ঞান রয়েছে।