নয়াদিল্লি: এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল আর সূর্যকুমার যাদবদের ট্রফি না নেওয়ার বিতর্কের রেশ এখনও থামেনি, এরই মধ্যে মহিলা বিশ্বকাপেও নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

Continues below advertisement

পাকিস্তান মহিলা ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক সানা মির বিশ্বকাপের ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলের সদস্য। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে খেলা চলাকালীন তিনি এমন একটি মন্তব্য করেন, যা প্রবল বিতর্কের রূপ নেয়।

ঘটনাটি ঘটে পাকিস্তানের ইনিংসের ২৯তম ওভারে, যখন নাতালিয়া পারভেজ ব্যাটিং করতে নামেন। সানা মির প্রথমে বলেন যে নাতালিয়া কাশ্মীর থেকে এসেছেন, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য পরিবর্তন করে বলেন, ‘আজাদ কাশ্মীর’ থেকে এসেছেন।

Continues below advertisement

ঘটনা হচ্ছে, নাতালিয়া পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের (PoK) বাসিন্দা, যাকে পাকিস্তান আজাদ কাশ্মীর বলে। এই মন্তব্যের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল -হতেই ভারতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়।

প্রাক্তন অধিনায়ক সানা মির এই মন্তব্যের পর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে একটি বিবৃতি দেন। তিনি এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, 'এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আমার মন্তব্যকে অতিরঞ্জিত করা হচ্ছে এবং ক্রীড়া জগতের মানুষের উপর অযাচিত চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমি স্পষ্ট করতে চাই যে আমার কথার উদ্দেশ্য ছিল একজন খেলোয়াড়ের পটভূমি এবং তাঁর সংগ্রামের সফরকে তুলে ধরা। আমি মহিলা বিশ্বকাপ ২০২৫-এ যে খেলোয়াড়ের কথা উল্লেখ করেছি। নাতালিয়া পাকিস্তানের একটি বিশেষ অঞ্চল থেকে এসেছেন এবং আমার উদ্দেশ্য ছিল তাঁর যাত্রা ও চ্যালেঞ্জগুলি তুলে ধরা। ধারাভাষ্যের সময় আমরা প্রায়ই খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার করি, তাঁরা যে কোনও দেশ বা অঞ্চলেরই হোক না কেন। সেইভাবেই আমি সেই খেলোয়াড়ের কথা উল্লেখ করেছি, যেমনটা আমি সেদিন আরও দুই খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেও করেছিলাম।'

সানা মির বলেছেন, অনুগ্রহ করে এই মন্তব্যের রাজনৈতিকরণ করবেন না। একজন ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমাদের কাজ খেলা, দল এবং খেলোয়াড়দের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করা এবং তাঁদের সাহস ও দৃঢ়তার গল্প বিশ্বের সামনে তুলে ধরা। আমার মনে কারও প্রতি কোনও বিদ্বেষ নেই এবং কারও অনুভূতিতে আঘাত করার কোনও ইচ্ছাও ছিল না। যে সূত্র থেকে আমি খেলোয়াড়ের পটভূমির উপর তথ্য নিয়েছিলাম, তাতে এই বিবরণ ছিল। পরে তা পরিবর্তন করা হয়েছে, কিন্তু আমি সেই তথ্য উল্লেখ করেছিলাম। আমার আবেদন, এটিকে খেলার মধ্যেই দেখা হোক।