বেঙ্গালুরু: ভারতের টি-টোয়েন্টি দলে তাঁর সুযোগ পাওয়া নিয়ে দিনকয়েক আগেও প্রশ্নচিহ্ন ছিল। তবে রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) প্রমাণ করে দিলেন কেন তাঁকে বর্তমান প্রজন্মের অন্যতম সেরা ব্যাটার বলে গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে বেঙ্গালুরুতে সিরিজ়ের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (IND vs AFG 3rd T20I) কেরিয়ারের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি শতরান হাঁকালেন রোহিত। বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ফর্ম্যাটে এই রেকর্ড আর করার নেই। রোহিত সতীর্থ সূর্যকুমার যাদব ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের চারটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি শতরানের রেকর্ডকে পিছনে ফেললেন। দিনের শেষে ১২১ রানে অপরাজিত রইলেন তিনি। ভারত ২০ ওভারে চার উইকেটের বিনিময়ে ২১২ রান তুলল। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। তবে দ্রুতই তাঁর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন উঠতে থাকে। আফগানিস্তানের ফরিদ আমেদের বিরুদ্ধে কার্যত অসহায় আত্মসমর্পন করে ভারতীয় টপ অর্ডার। ২২ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে ভারতীয় দল। ফরিদ নেন তিন উইকেট। অবশ্য বাঁ-হাতি ফাস্ট বোলারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের এই দুর্বলতা এর আগেও অতীতে দেখা দিয়েছে। এই ম্যাচেও সেই পুরনো রোগেই আক্রান্ত হল ভারত।


তবে একদিকে যেখানে একের পর এক উইকেট হারাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া, সেখানে রোহিত শর্মা, অপরদিকে ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকেন। শতরানেরও কম স্ট্রাইক রেট নিয়ে লম্বা একটা সময় ব্যাট করে ইনিংস সামলানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিংহ। রোহিত তারপর পরিস্থিতি বুঝে ধীরে ধীরে নিজের রঙ বদলান। ৪১ বলে নিজের প্রথম ৫০ রান করেন তিনি। তাঁর পরের ৫০ রান আসতে সেখানে সময় লাগে মাত্র ২৩ বল।


রিঙ্কু এবং রোহিত এদিন সেট হয়ে যাওয়ার পর আফগানিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন। রোহিত শেষমেশ ৬৯ বলে ১২১ রানে অপরাজিত থাকেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১১টি চার ও আটটি ছক্কায়। ১৯০ রানের রোহিত-রিঙ্কুর পার্টনারশিপই ভারতকে খাদের কিনারা থেকে তুলে এনে দুশো রানের গণ্ডি পার করায়। এবার ভারত এই ম্যাচ জিতে আফগানিস্তানকে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হোয়াইটওয়াশ করতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয় হতে চলেছে।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে 


আরও পড়ুন: কেরিয়ার সেরা পঞ্চম স্থানে অক্ষর, আইসিসি ব়্যাঙ্কিংয়ে ব্যাটারদের তালিকায় এগোলেন যশস্বী, দুবেও