পারথ: যে কোনও সফরেরই শুরুটা ভাল করা অত্যন্ত জরুরি। তবে অজ়িভূমে সেটা একেবারেই করতে ব্যর্থ টিম ইন্ডিয়া। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম ওয়ান ডে ম্যাচে (IND vs AUS) ২৯ বল বাকি থাকতে সাত উইকেটে পরাজিত হয় ভারতীয় দল। তবে দল প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়লেও অধিনায়ক শুভমন গিল (Shubman Gill) দলের পারফরম্যান্সে বেশ সন্তুষ্ট।

Continues below advertisement

এই ম্যাচের মাধ্যমেই ভারতীয় ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসাবে নিজের অভিযান শুরু করেছেন শুভমন গিল। টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে শতরান করে শুরুটা করেছিলেন। তবে ওয়ান ডে অধিনায়ক হিসাবে অভিষেক ম্যাচে ব্যাট হাতে অবশ্য রান পাননি গিল। অস্ট্রেলিয়া হেসেখেলে ম্যাচ জিতে নেয়। তাও দলের লড়াইয়ে তাঁর গলায় সন্তোষ ধরা পড়ল।

গিলকে ম্যাচের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বলতে শোনা যায়, 'পাওয়ার প্লেতে তিনটি উইকেট পড়ে গেলে পরিস্থিতিটা সবসময়ই কঠিন হয়ে যায়। সবসময়ই ম্যাচে ফেরার লড়াই চলে। তবে এই ম্যাচে বেশ কিছু ইতিবাচক দিক ছিল এবং আমরা অনেক কিছু শিখতেও পেরেছি। ২৬ ওভারে ১৩০ রান মতো ডিফেন্ড করতে নেমে আমরা ম্যাচটা অনেকটা গভীরে নিয়ে যেতে পেরেছি, এটাই সন্তোষজনক।' পাশাপাশি গিল সমর্থকদের কৃতজ্ঞতাও জানান। 'আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে আমরা যেখানেই খেলি সেখানেই আমাদের জন্য গলা ফাটাতে প্রচুর সংখ্যক সমর্থকরা আসেন। তার জন্য ধন্যবাদ' বলেন গিল। 

Continues below advertisement

এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজ়ি অধিনায়ক মিচেল মার্শ। ভারতে হয়ে ওপেনে নেমেছিলেন শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক মাত্র আট রান করেই সাজঘরে ফেরেন। জশ হ্যাজেলউডের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। গিলও ১০ রানের বেশি করতে পারেননি। খাতাই খুলতে পারেননি বিরাট কোহলি। মিচেল স্টার্কের শিকার হন তিনি। মিডল অর্ডারে অক্ষর পটেল ও কেএল রাহুল খানিকটা লড়াই করেন। অক্ষর ৩১ ও রাহুল ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন। দু'জনে ফেরার পর আর সেভাবে কোনও ব্যাটার হাল ধরতে পারেননি। শেষের নীতীশ কুমার রেড্ডি ১৯ রানের ছোট্ট একটি ইনিংস খেলেন। ২৬ ওভারে নয় উইকেটে ১৩৬ রান তুে ইনিংস শেষ করে ভারত

জবাবে ডি এল এস মেথডে অজিদের লক্ষ্য কমে যায়। অস্ট্রেলিয়ার জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৩১ রান। মার্শ বাহিনীর সহজেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ওপেনে নেমে এদিন ট্রাভিস হেড তেমন রান পাননি। অজ়ি শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন অর্শদীপ সিংহ। তিনি ফিরিয়ে দেন ট্রাভিস হেডকে। আট রানে করে হর্ষিত রানার হাতে ক্য়াচ দিয়ে ফিরে যান হেড। ম্য়াথু শর্টও বেশি রান করতে পারেননি। তিনিও আট রানেই আউট হন। এক্ষেত্রে সাফল্য পান অক্ষর পটেল।

কিন্তু একদিকে অজ়িরা ৫০ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারালেও, অপরদিকে মিচেল মার্শ ক্রিজ়ে নিজেকে সেট করে চালিয়ে খেলতে থাকেন। জশ ফিলিপের সঙ্গে জুটি বেঁধে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের সুনিশ্চিত করেন তিনি। ফিলিপে ৩৭ রান করে আউট হলেও, মার্শ ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্য়াট রেনেশঁ ২১ রান করে মার্শের সঙ্গে অপরাজিত থেকে ম্যাচ ফিনিশ করেই সাজঘরে ফেরেন।