কোটলা: দিনের শুরুতেও কেউ ভাবেনি যে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই খেলার মোড় এতটা ঘুরে যাবে। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border Gavaskar Trophy) দ্বিতীয় টেস্টে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দল। একই সঙ্গে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ভারতীয় দল। টেস্টের ক্রমতালিকায়ও শীর্ষে উঠে এলে টিম ইন্ডিয়া। এই মুহূর্তে টেস্ট, ওয়ান ডে, টি-টোয়েন্টি তিন ফর্ম্যাটেই ক্রমতালিকায় শীর্ষে পৌঁছে গেল রোহিতের ভারত।
মাত্র ১১৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই ফের কে এল রাহুলের উইকেট হারায় ভারত। খাতা খোলার আগেই ফিরে যান রাহুল। এরপর রোহিত শর্মা ও চেতেশ্বর পূজারা মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। রোহিত ভাল শুরু করেছিলেন। ২০ বলে ৩১ রান করে যখন ক্রিজে সেট হয়ে গিয়েছিলেন, সেই সময়ই পূজারার সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট হতে হয় হিটম্যানকে। বিরাট কোহলিও ২০ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে পূজারা শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে ছিলেন। তিনি ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন।
দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালেই চালকের আসনে ভারত। মাত্র ১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নেমেছিল ভারত। ৬২ রানে এগিয়ে থেকে এদিন ব্যাট করতে নেমেছিল অজিরা। হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় দিনে পিচের ভাঙনকে দুর্দান্তভাবে কাজে লাগালেন ভারতের ২ তারকা অভিজ্ঞ স্পিনার জাডেজা (Ravindra Jadeja) ও অশ্বিন (Ravichandran Aswin)। ২ জনে মিলেই ১০ উইকেট তুলে নিলেন অজি ইনিংসের।
আগের দিন খাওয়াজার উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬১ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এদিনের শুরুতেই ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন অশ্বিন। ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হেড। এরপর থেকে আর কেউই ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। অশ্বিন শুরু করতেই এরপর জাডেজা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। তিনি একাই একে এক সাত উইকেট তুলে নেন। হ্যাট্রিকের সুযোগও চলে এসেছিল। যদিও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি ডাজেডা। শেষ পর্যন্ত নিজের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা স্পেল ৪২ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট তুলে নেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। অশ্বিন ৩ উইকেট নেন।
অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারে কেউই এদিন রান করতে পারেননি। স্মিথ ৯ রান করে আউট হন। লাবুশেন ৩৫ রান করে কিছুটা লড়াই করছিলেন। কিন্তু তিনিও ফিরে যান জাডেজার বলে বোল্ড হয়ে যান। হ্য়ান্ডস্কম্ব ও কামিন্স ২ জনের কেউই খাতা খুলতে পারেননি।