কোটলা: বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar) দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের সকালেই চালকের আসনে ভারত। মাত্র ১ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াট করতে নেমেছিল ভারত। ৬২ রানে এগিয়ে থেকে এদিন ব্যাট করতে নেমেছিল অজিরা। হাতে ছিল ৯ উইকেট। কিন্তু তৃতীয় দিনে পিচের ভাঙনকে দুর্দান্তভাবে কাজে লাগালেন ভারতের ২ তারকা অভিজ্ঞ স্পিনার জাডেজা (Ravindra Jadeja) ও অশ্বিন (Ravichandran Aswin)। ২ জনে মিলেই ১০ উইকেট তুলে নিলেন অজি ইনিংসের। 


আগের দিন খাওয়াজার উইকেট হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দিনের শেষে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৬১ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। এদিনের শুরুতেই ট্রাভিস হেডকে ফিরিয়ে প্রথম ধাক্কা দেন অশ্বিন। ৪৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন হেড। এরপর থেকে আর কেউই ক্রিজে দাঁড়াতে পারেননি। অশ্বিন শুরু করতেই এরপর জাডেজা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। তিনি একাই একে এক সাত উইকেট তুলে নেন। হ্যাট্রিকের সুযোগও চলে এসেছিল। যদিও হ্যাটট্রিক করতে পারেননি ডাজেডা। শেষ পর্যন্ত নিজের টেস্ট কেরিয়ারের সেরা স্পেল ৪২ রানের বিনিময়ে ৭ উইকেট তুলে নেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডার। অশ্বিন ৩ উইকেট নেন।


অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডারে কেউই এদিন রান করতে পারেননি। স্মিথ ৯ রান করে আউট হন। লাবুশেন ৩৫ রান করে কিছুটা লড়াই করছিলেন। কিন্তু তিনিও ফিরে যান জাডেজার বলে বোল্ড হয়ে যান। হ্য়ান্ডস্কম্ব ও কামিন্স ২ জনের কেউই খাতা খুলতে পারেননি।


ভারতের প্রথম ইনিংস


ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৪ উইকেট হারায় ভারত। মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে ভারতের স্কোর ৩৫ ওভারে ৮৮/৪। ফিরে গিয়েছেন রোহিত শর্মা (৩২), কে এল রাহুল (১৭), চেতেশ্বর পূজারা (০) ও শ্রেয়স আইয়ার (৪)। ৪টি উইকেটই পান ন্যাথান লায়ন (Nathan Lyon)। তারপরে রবীন্দ্র জাডেজা, বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ভারতের হয়ে লড়াই করেন। তাঁরা পঞ্চম উইকেটে ৫৯ রান যোগ করেন। তবে তাঁদের লড়াকু অর্ধশতরানের পার্টনারশিপের পর ১৪ রানের মধ্য়ে তিন উইকেট হারিয়ে বিরাট চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় দল।


জাডেজা ২৭ ও কোহলি ৪৪ রানে ফেরেন। রান পাননি কেএস ভরতও (৬)। এমন পরিস্থিতিতে ফের একবার ব্যাট হাতে ভারতের ত্রাতা হয়ে উঠেন অক্ষর পটেল (Axar Patel)। গত ম্যাচে ৮৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। এ ম্যাচে করলেন ৭৪ রান। ১৩৯ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় দলের হয়ে অষ্টম উইকেটে ১২০ রান যোগ করেন অশ্বিন-অক্ষর। বল হাতে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্সই এই পার্টনারশিপ ভাঙেন।


প্রথমে ৩৭ রানে অশ্বিনকে ফেরান কামিন্স। তারপর মিড অনে এক হাতে এক অনবদ্য ক্যাচ ধরে অক্ষরকেও ফেরান সেই কামিন্সই। মাত্র নয় রানের ব্যবধানে শেষ তিন উইকেট হারায় ভারতীয় দল। ফলে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসের রানের গণ্ডি পার করা সম্ভব হল না। এক রানে পিছিয়েই রইল ভারতীয় দল। ন্যাথান লায়ন এই ইনিংসেই মাত্র তৃতীয় বোলার হিসাবে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ১০০টি উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব গড়েন।