হোবার্ট: নতুন জীবন কীভাবে কাজে লাগাতে হয়, দেখিয়ে দিলেন টিম ডেভিড।
যশপ্রীত বুমরার বলে ব্যাকয়ার্ড পয়েন্টে যখন তাঁর লোপ্পা ক্যাচ ফেললেন ওয়াশিংটন সুন্দর, স্কোরবোর্ডে টিম ডেভিডের (Tim David) নামের পাশে ১১ বলে ২০ রান। সেই ডেভিড যখন শেষ পর্যন্ত ৩৮ বলে ৭৪ রান করে শিবম দুবের বলে বাউন্ডারি লাইনে তিলক বর্মার তালুবন্দি হলেন, তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে ৩৮ বলে ৭৪ রান।
৮ চার ও ৫ ছক্কার বিধ্বংসী ইনিংসে ভারতকে চাপে রাখলেন ডেভিড। ১৯৫ ছুঁই ছুঁই স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করলেন। অক্ষর পটেলকে একটি বিশাল ছক্কা মারলেন। ১২৯ মিটার দূরে উড়ে গেল বল। আর একটু হলে মাঠের বাইরেই চলে যাচ্ছিল। নিনজা স্টেডিয়ামের সুউচ্চ ছাদে গিয়ে ধাক্কা খেয়ে ফিরল বল। মাত্র ২৩ বলে হাফসেঞ্চুরি। অল্পের জন্য বেঁচে গেল ক্যামেরন গ্রিনের রেকর্ড। ২০২২ সালে হায়দরাবাদে গ্রিন ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটাই ভারতের বিরুদ্ধে টি-২০ ম্যাচে কোনও অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটারের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। সেই রেকর্ডের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেলেন ডেভিড।
টিম ডেভিডের পাশাপাশি ৩৯ বলে ৬৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন মার্কাস স্টোইনিসও। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ১৫ বলে ২৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেললেন ম্যাথু শর্টও। ২০ ওভারের শেষে অস্ট্রেলিয়া তুলল ১৮৬/৬। পরীক্ষা এবার ভারতীয় ব্যাটিংয়ের।
রবিবার টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। শুরুতেই তিনি জানিয়েছিলেন, উইকেট পরের দিকে ব্যাটিংয়ের পক্ষে আরও ভাল হয়ে যাবে। সেটাই সত্যি করে দেখানোর পরীক্ষা এবার তাঁর দলের ব্যাটারদের। ১৮৭ রান করে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনার সুযোগ।
এদিন দলে তিনটি বদল ঘটিয়েছে ভারত। হর্ষিত রানা, কুলদীপ যাদব ও সঞ্জু স্যামসনের পরিবর্তে খেলানো হচ্ছে অর্শদীপ সিংহ, ওয়াশিংটন সুন্দর ও জিতেশ শর্মাকে। অর্শদীপকে খেলানোর দাবি উঠছিল অনেকদিন ধরেই। ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অর্শদীপ নিজেকে প্রমাণ করলেন। কোনও উইকেট না পেলেও কৃপণ বোলিং করলেন বুমরা। ৪ ওভারে খরচ করলেন মোটে ২৬ রান। ২ উইকেট বরুণ চক্রবর্তীর।