বিশাখাপত্তনম: ভারত বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টের (IND vs ENG 2nd Test) চতুর্থ দিনেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা ছিলই। হলও তাই। দুই সেশনের মধ্যেই ইংল্যান্ডকে অল আউট করে দিল ভারতীয়। ৩৯৯ রান তাড়া করতে নেমে ২৯২ রানেই শেষ হয়ে যায় স্টোকসদের ইনিংস। যশপ্রীত বুমরা (Jasprit Bumrah) এবং আর অশ্বিন (R Ashwin) তিনটি করে উইকেট নেন। ম্যাচে বুমরার ১০ উইকেটের পাশাপাশি যশস্বী জয়সওয়ালের (Yashasvi Jaiswal) দ্বিশতরান ও শুভমন গিলের সেঞ্চুরি দলের জয়ের ভিত গড়ে দেয়। এই ম্যাচ জিতে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়ে ১-১ সমতায় ফিরল ভারত।
এক উইকেটের বিনিময়ে ৬৭ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ক্রিজে উপস্থিত ছিলেন জ্যাক ক্রলি ও নাইট ওয়াচম্যান হিসাবে নামা রেহান আমেদ। ইংল্যান্ড যে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে জয়ের জন্য খেলবে, তার পূর্বাভাস ছিলই। সেইমতোই স্পিনারদের বিরুদ্ধে আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করা শুরু করেন রেহান, ফাস্ট বোলারদের সামলান ক্রলি। তবে অক্ষর পটেল রেহান আমেদকে ২৩ রানে সাজঘরে ফিরিয়ে ভারতকে প্রথম সাফল্য এনে দেন।
এরপর ক্রলিকে সঙ্গ দিতে ক্রিজে আসেন প্রথম টেস্টের শতরানকারী অলি পোপ। ৮৩ রানে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন ইংল্যান্ড ওপেনার ক্রলি। দুইজনে ৩৭ রানের পার্টনারশিপও যোগ করে ফেলেন। তবে স্লিপে দুরন্ত রিফ্লেক্সের প্রদর্শন দিয়ে অনবদ্য এক ক্যাচ ধরেন রোহিত শর্মা। ২৩ রানে অশ্বিনের বলে ফেরেন পোপ। জো রুটও বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। অশ্বিনের বিরুদ্ধে বড় শট হাঁকাতে গিয়ে ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটার শর্ট থার্ড ম্যানে ধরা দেন। কেরিয়ারের ৪৯৯তম টেস্ট উইকেটটি পান অশ্বিন।
অপরপ্রান্ত থেকে উইকেট পরলেও ক্রলি নিজের ব্যাটিং, শট নির্বাচনে প্রভাবিত করেন। দু'শো রানের দিকে দ্রুত অগ্রসর হচ্ছিল ইংল্যান্ড দল। ক্রলির ব্যাটে চেপেই জয়ের স্বপ্ন বুনছিল তাঁরা। তবে মধ্যাহ্নভোজের আগেই দুরন্তভাবে ভারত ম্যাচে ফেরে। পরপর ওভারে ক্রলি ও বেয়ারস্টোকে যথাক্রমে কুলদীপ যাদব ও যশপ্রীত বুমরা সাজঘরে ফেরান। ১৯৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলে ইংল্যান্ড।
থ্রি লায়ান্সের জয়, পরাজয়ের অনেকটাই বেন স্টোকসের ব্যাটের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে স্টোকস বড় রান করতে ব্যর্থ হন। খানিকটা গা ছাড়াভাবেই রান নিতে গিয়ে ১১ রানে আউট হন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। শ্রেয়স আইয়ারের দুরন্ত ডাইরেক্ট হিটই কাল হয়। তবে সাত উইকেট হারিয়েই ইংল্যান্ড কিন্তু একেবারেই হাল ছেড়ে দেয়নি, বরং বেন ফোকস ও টম হার্টলি পাল্টা আক্রমণ চালান দলের হয়ে। অষ্টম উইকেটে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়ে ফেলেন।
ঠিক যখন মনে হচ্ছিল ফোকস এবং হার্টলি ভারতের চাপ বাড়াবেন, তখনই দলকে ম্যাচে ফেরান বুমরা। কট অ্যান্ড বোল্ডে ৩৬ রানে ফোকসকে সাজঘরে ফেরান তিনিই। খাতা খোলার আগেই মুকেশ কুমারের বলে আউট হন শোয়েব বশির। শেষমেশ হার্টলির ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংসে বিরাম লাগান বুমরা। ইংল্যান্ড ২৯২ রানেই গুটিয়ে যায়। প্রথম ইনিংসে সাত ও দ্বিতীয় ইনিংসে তিন উইকেট নেন বুমরা।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে
আরও পড়ুন: পরপর ব্যর্থতা সত্ত্বেও বাড়তি চাপ ছিল না, দ্বিতীয় টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েই দাবি গিলের