কলকাতা: ইডেনে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম টেস্টে ম্যাচের (India vs South Africa:) প্রথম দিন প্রোটিয়া অধিনায়ককে 'বামন' বলে সম্বোধন করায় অনেকেই যশপ্রীত বুমরার (Jasprit Bumrah) বেশ সমালোচনা করেছিলেন। তবে ম্যাচশেষে ধরা পড়ল এক অনন্য দৃশ্য। যে তেম্বা বাভুমাকে (Temba Bavuma) 'বডি শেম' করার জন্য অভিযোগে বিদ্ধ হয়েছিলেন বুমরা, সেই বাভুমার সঙ্গেই ভারতীয় তারকা ফাস্ট বোলারকে উষ্ণ আলিঙ্গন করে কথাবার্তা বলতে দেখা গেল।

Continues below advertisement

ম্যাচের প্রথম দিন প্রোটিয়া দলের প্রথম ইনিংস বুমরা ত্রয়োদশ ওভারের শেষ বলটি করতেই তা আছড়ে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক তেম্বা বাভুমার প্যাডে। তেম্বা তখন সবে ক্রিজে নেমেছেন। কোনও রান করেননি। এবং বুমরার বলে প্রবল অস্বস্তিতে দেখাচ্ছে তাঁকে। ঘণ্টায় ১৪১ কিলোমিটার গতির বলটি বাভুমার পিছনের পায়ের প্যাডে লাগতেই এলবিডব্লিউয়ের জোরাল আবেদন করেন বুমরা, পন্থ সহ ভারতের ক্রিকেটারেরা। তবে আম্পায়ার সেই আবেদন খারিজ করে দেন। বেঁচে যান বাভুমা।

ভারতীয় দল এই সময়েই ডিআরএস নেবে কি না, সেই নিয়ে বোলার বুমরা, কিপার ঋষভ পন্থের মধ্য আলোচনা শুরু হয়। স্টাম্প মাইক্রোফোনে বুমরা ও পন্থের কথোপকথনটি শোনা যায়। এমনিতে কোনও ব্যাটারের থাইয়ে বল লাগা মানে সেটি স্টাম্পের ওপর দিয়ে বেরিয়ে যাবে, সেটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বাভুমার উচ্চতা কম হওয়ায় বলটি স্টাম্পে লাগতেও পারত, মত বুমরার। পন্থের উদ্দেশে বুমরাকে বলতে শোনা যায়, 'বওনা ভি তো হ্যায় ইয়ে।' যার বাংলা অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, 'এ তো বামনও।' পন্থ বলেন, 'বামন, কিন্তু বলটা লেগেছে পায়ের অনেক ওপরে।' শেষমেশ ভারত রিভিউ নেয়নি।

Continues below advertisement

এই কথোপকথন নিয়ে চর্চা শুরু হয়। অনেকেই উদ্ধৃতি বিশ্বজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ককে অসম্মান করেছিল বলে দাবি করেছিলেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যানেজমেন্ট এর থেকে নিজেদের দূরেই সরিয়ে রেখেছিল। দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স (Ashwell Prince) এই বিতর্ক থেকে নিজেদের দূরেই সরিয়ে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, 'এই নিয়ে আর কোনও চর্চা হবে না। এই প্রথমবারই আমি এই বিষয়টি জানতে পারলাম। আমার মনে হয় না মাঠের মাঝে যা হয়েছে, তা নিয়ে আর কোনওরকম কোনও সমস্যা হবে।'

এর পরেও অবশ্য অনেকেই বুমরার শাস্তির দাবি তুলেছিল। তবে ম্যাচ শেষে যেন সমস্ত বিভেদও মিটে গেল। একেবারে গলায় হাত দিয়ে বাভুমার সঙ্গে কথা বলতে বলতে মাঠ ছাড়েন বুমরা। এই ঘটনা কিন্তু তেম্বা বাভুমার প্রতি বুমরার সম্মানের প্রতীক বলে ধরে নেওয়াই যেতে পারে।