নয়াদিল্লি: প্রথম টেস্ট শেষ হয়ে গিয়েছিল মাত্র আড়াই দিনে। তবে ভারতের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে (IND vs WI 2nd Test) ওয়েস্ট ইন্ডিজ় বেশ নজকাড়া লড়াই করল। ম্যাচ গড়িয়েছে পঞ্চম দিনে। ভারত আপাতত ম্যাচ জয়ের দোরগোড়ায়। অবশ্য এক সময় কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ে ম্যাচে দারুণভাবে ফিরে আসার পথে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। ৪০ রানের বিনিময়ে ভারতীয় দল ছয় উইকেট তুলে নিয়ে ফের একবার ম্য়াচে কামব্যাক করে। এই কামব্যাকেই কুর্নিশ জানালেন ওয়াশিংটন সুন্দর (Washington Sundar)।  

Continues below advertisement

সুন্দরের মতে অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেস্টের পিচে বোলিং করে উইকেট পেতে রীতিমতো ধৈর্য্য ধরে সঠিক সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। তিনি চতুর্থ দিনের খেলা শেষে বলেন, 'এই ধরনের উইকেটে অনেক বেশি পরিমাণে ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। আরও বেশি করে একেবার সঠিক জায়গায় বলটা রাখা প্রয়োজনীয়। এটাই এই উইকেটের চ্যালেঞ্জ। লম্বা লম্বা স্পেল করা এবং এই ধরনের পিচে ২০ উইকেট নেওয়াটা অত্যন্ত আনন্দদায়ক। সব বোলাররাই ভাল বোলিং করেছেন। ফাস্ট বোলাররাও তো প্রতিটি বলে নিজেদের সর্বস্বটা উজাড় করে দিয়েছে। তাই সত্যি বলতে এই বোলিং পারফরম্যান্সটা প্রশংসা পাওয়ার যোগ্য।'

ওয়াশিংটনের দাবি এই পিচটা গোটা ম্যাচ জুড়েই খুবই মন্থর গতির ছিল। সেই কারণেই ভারতীয় বোলারদের ভিন্ন ভিন্ন না না পরিকল্পনা করে বোলিং করতে হয়েছিল। তাঁর মূলত উইকেট লক্ষ্য করেই বোলিং করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কামব্য়াকের সময় দলের পরিকল্পনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে সুন্দর জানান, 'আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সবসময় ধৈর্য্য ধরে নিরন্তর সঠিক জায়গায় বোলিং করে যাওয়ার কথা বলছিলাম। এখানে তো এটাই দরকার। পিচ কেমন হবে না হবে সেটা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তবে নিরন্তর নিজেদের সবটা দিয়ে একের পর এক স্পেন সঠিক জায়গায় বোলিং করা যাওয়াটা আমাদের হাতে। আমার মতে আমরা সকলেই সেটা দারুণভাবে করতে পেরেছি।'

Continues below advertisement

ফলো অন করা ওয়েস্ট ইন্ডিজ় নয়াদিল্লিতে শাই হোপ এবং জন ক্যাম্পবেলের শতরানের সুবাদে দারুণভাবে লড়াইয়ে ফেরে। মাঝে ব্যাটিং ধস নামার পর শেষবেলায় জাস্টিন গ্রিভসের অর্ধশতরানে ভারতকে ১২১ রানের টার্গেট নির্ধারণ করেন রস্টন চেজ়রা। জবাবে ব্যাটে নেমে চতুর্থ দিনের খেলা শেষে ভারতের স্কোর এক উইকেটের বিনিময়ে ৬৩ রান। ম্য়াচের শেষদিনে ভারতের জয়ের জন্য আর মাত্র ৫৮ রানের প্রয়োজন, হাতে রয়েছে নয় উইকেট।