আমদাবাদ: ইংল্যান্ডে টেস্ট অধিনায়ক হিসাবে নিজের প্রথম সফরে শুভমন গিলের (Shubman Gill) ব্যাট সকল সমালোচকদের জবাব দিয়েছিল। চারটি শতরান হাঁকিয়েছিলেন তিনি, যার মধ্যে একটি ছিল দ্বিশতরান। পাঁচ ম্য়াচের সেই সিরিজ়ে ৭০০-র অধিক রান আসে গিলের ব্যাট থেকে। কত রেকর্ড না তিনি ভেঙে চুরমার করেন। সেই সিরিজ়ের পর এশিয়া কাপে তাঁর ব্যাট খানিকটা শান্তই ছিল। তবে বলের রং বদলাতেই ফের একবার জ্বলে উঠলেন ভারতীয় অধিনায়ক। স্পর্শ করলেন নতুন এক মাইলফলক।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে (IND vs WI) আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গিল ৫০ রানের ইনিংস খেলেন। ঘটনাক্রমে এটি ভারতের মাটিতে অধিনায়ক হিসাবে তাঁর প্রথম টেস্ট ইনিংস ছিল। সেই ইনিংসেই অর্ধশতরান হাঁকালেন গিল। এই কৃতিত্ব এর আগে কেবল একজন ভারতীয় দখলেই ছিল। তিনি সুনীল গাওস্কর। কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটারের কৃতিত্বে এবার ভাগ বসালেন নতুন প্রজন্মের মহাতারকা। অধিনায়ক হিসাবে গিলের এই অসামান্য ফর্ম কিন্তু প্রমাণ করে দেয়, অধিনায়কত্ব তাঁর কাছে বোঝা নয়, বরং বাড়তি দায়িত্ব পেয়ে তিনি নিজেকে আরও ভালভাবে মেলে ধরতে সক্ষম।
গিল এদিন শতরান করতে পারেননি। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে এক, দুই নয়, তিন তিনজন ভারতীয় তারকা শতরান হাঁকান। তাঁরা হলেন কেএল রাহুল, ধ্রুব জুরেল ও রবীন্দ্র জাডেজা। টেস্ট কেরিয়ারে এটি রাহুলের ১১তম শতরান, জাডেজার এটি ষষ্ঠ শতরান। তবে ঋষভ পন্থের অনুপস্থিতিতে তাঁর বদলে দলে সুযোগ পাওয়া ধ্রুব জুরেলের এটিই প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১৯০ বলে নিজের কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকালেন তিনি। শুভমন গিল ও কেএল রাহুলের জমাটি পার্টনারশিপের পর পাঁচ নম্বরে ব্য়াট করতে নামেন ধ্রুব জুরেল। তিনি কিন্তু দারুণ পরিপক্কতার সঙ্গে ব্যাটিং করেন। লাঞ্চের পরেই শতরান হাঁকানো কেএল রাহুল সাজঘরে ফিরলেও, জুরেল কিন্তু বিন্দুমাত্র বিচলিত হননি। দেখেশুনে নিজের ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যান তিনি। জাডেজার সঙ্গে লম্বা পার্টনারশিপ গড়েন। পাঁচটি চার ও দুইটি ছক্কার সুবদে জুরেল ৯১ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করেন।
শেষমেশ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে যখন জুরেল মাঠ ছাড়লেন, তখন তাঁর নামের পাশে লেখা ১২৫। জাডেজার সঙ্গে ততক্ষণে দ্বিশতরানের পার্টনারশিপও হয়ে গিয়েছে। ভারত বর্তমানে এই ম্যাচে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে।