সিডনি: এমন সম্ভাবনা ছিলই। কিছুদিন আগেই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আভাস দেওয়া হয়েছিল যে আসন্ন বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে হয়ত পাওয়া যাবে না ক্যামেরন গ্রিনকে। এবার তা পাকাপাকিভাবে জানিয়ে দেওয়া হল। বিশ্বজয়ী অজি অলরাউন্ডারকে ভারতের বিরুদ্ধে পাঁচ ম্য়াচের টেস্ট সিরিজে কোনও ম্য়াচেই পাওয়া যাবে না। পিঠের চোটের জন্য ছিটকে গেলেন তিনি। গ্রিনের অস্ত্রোপচার হবে। 


ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার তরফে জানা গিয়েছে গ্রিনের পিঠের চোটের পরিস্থিতি খুবই জটিল। গত মাসে ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দল। সেখানেই পিঠের ব্যথা বেশি করে অনুভব করেন তারকা অলরাউন্ডার। এরপরই স্ক্যান করা হয়। তখন স্ট্রেস ফ্র্যাকচার ধরা পড়ে। তাঁর অস্ত্রোপচার করা হবে। আর সেই জন্য শুধু ভারত সফর নয়। আগামী ফেব্রুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও অনিশ্চিত এই দীর্ঘকায় ক্রিকেটার।


প্রথমে শোনা যাচ্ছিল যে আসন্ন বর্ডার গাওস্কর ট্রফিতে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবেই খেলতে নামবেন ডানহাতি এই দীর্ঘকায় অজি তারকা। কিন্তু এবার শোনা যাচ্ছে অপারেশন হতে পারে গ্রিনের। সেক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। এর আগ ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসক পিটার ব্রুকনার জানিয়েছিলেন যে পিঠের চোট এমন ধরণের গ্রিনের যে ওঁর পক্ষে বল করা রীতিমত কঠিন। আর সম্পূর্ণ ফিট হয়ে ওঠার আগে পর্যন্ত মাঠে নামা কোনওভাবেই সম্ভব নয় গ্রিনের। 


অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের মিডল অর্ডারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন ক্যামেরন গ্রিন। এবার গ্রিন না থাকায় তাঁর পরিবর্তে নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডারকে খুঁজে বের করতে হবে অজি ক্রিকেট শিবিরকে। এর আগের দুটো বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতেই জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট দল। ২০১৮-১৯ ও ২০২০-২১ মরশুমেও বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া। প্রথম সিরিজে বিরাট কোহলির নেতৃত্বে ও পরে অজিঙ্ক রাহানের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জেতে ভারত।


এবার বর্ডার গাওস্কর ট্রফি নিয়ে টিকিটের চাহিদাও নাকি তুঙ্গে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতি অনুযায়ী ভারত-অস্ট্রেলিয়া বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম দিনের টিকিট বিক্রির পরিমাণ ২০১৮-১৯ সালের (শেষবার অজ়িভূমে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়) তুলনায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ দিনের টিকিট বিক্রির পরিমাণ তো আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই বৃদ্ধির পরিমাণ গত বারের তুলনায় ৫.৫ গুণ। উল্লেখযোগ্যভাবে, ভারত থেকে এই বক্সিং ডে ম্যাচের জন্য টিকিট বুক করার পরিমাণও অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। বছর ছয়েক আগে ভারতীয়রা যেখানে ০.৭ শতাংশ টিকিট কিনেছিল, সেখানে এবার সেই পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৯ শতাংশ।