নয়াদিল্লি: বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির (Border-Gavaskar Trophy) দ্বিতীয় টেস্টের আগে ভারতীয় শিবিরে খুশির খবর। চোট সারিয়ে দলে ফিরলেন শ্রেয়স আইয়ার। নিউজিল্য়ান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে খেলার সময় পিঠে চোট পেয়েছিলেন। এরপর নাগপুর টেস্ট (Nagpur Test) থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন তিনি। ফর্মে থাকা শ্রেয়সের অভাব অবশ্য বোধ হয়নি। প্রথম টেস্টে বিরাট ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় টিম ইন্ডিয়া। তবে এদিন বিসিসিআইয়ের মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে শ্রেয়সকে ফিট ঘোষণা করা হয়। ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন শ্রেয়স। আগামী ১৭ তারিখ থেকে শুরু হতে চলেছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় টেস্ট। তবে সেই টেস্টে একাদশে শ্রেয়স সুযোগ পান কি না তা সময়ই বলবে। 


গত ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট খেলার পরেই তাঁর পিঠের সমস্যা বাড়ে। লোয়ার ব্যাক ফুলে উঠতে শুরু করে। ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে তাঁকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। প্রথমে বেঙ্গালুরু থেকে তাঁর সোজা নাগপুর উড়ে যাওয়ার কথা ছিল।


বিরাট কোহলির (Virat Kohli) নেতৃত্বে ভারতীয় দল কোনও আইসিসি ট্রফি জিততে না পারলেও, বেশ কিছু বড় সিরিজ জিততে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। বিরাটের নেতৃত্বেই প্রথমবার অজিভূমে টেস্ট সিরিজ নিজেদের নামে করে ভারত। তাও এক নয়, দুই দুইবার। বিরাটের নেতৃত্বেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও পৌঁছয় দল। এখন বিরাট জমানা শেষ হলেও, প্রাক্তন অধিনায়কের বেশি গুণ রপ্ত করেছেন বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা।


রোহিত এই বিষয়ে বলেন, 'আমি বিরাটের অধিনায়কত্বে বেশ কিছু ম্যাচ খেলেছি। প্রতিপক্ষের উইকেট পড়ুক বা না পড়ুক, ও সবসময় প্রতিপক্ষকে চাপে রাখতে বদ্ধপরিকর ছিল। চাপের প্রভাবেই তো ভুলত্রুটি হয় এবং তার ফলেই সাফল্যও আসে। বিরাট অধিনায়ক থাকাকালীন এই গুণটা আমি ওর থেকে রপ্ত করেছি। আমি নিজেও এখন এই পদ্ধতিটা মেনে চলার চেষ্টা করি। প্রতিটি বলেই উইকেট নেওয়ার আশা বৃথা। সঠিক জায়গায় বল করে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে হবে এবং পিচকেও সাহায্য করার সুযোগটা দিতে হবে।' 


রোহিত-বিরাটের মনোমালিন্য নিয়ে কম চর্চা হয়নি। তবে রোহিতের এই মন্তব্যের মাধ্যমে আবারও দুই ভারতীয় তারকার মধ্যে পরস্পরের প্রতি সম্মানের ছবিটা ফুটে উঠল। প্রসঙ্গত, নাগপুরে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির প্রথম ম্যাচে ইনিংস ও ১৩২ রানে জয় পেয়ে চার ম্যাচের সিরিজে ১-০ এগিয়ে গিয়েছে ভারতীয় দল। নয়াদিল্লিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। বিরাটের নেতৃত্বে ভারতীয় দল অজিদের বিরুদ্ধে একাধিক টেস্ট সিরিজ জিতেছিল। রোহিতের অধিনায়কত্বেও ভারত অজিদের হারিয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিজেদের জায়গা পাকা করতে পারে কি না, সেটাই দেখার বিষয়।