গোল্ড কোস্ট: অ্যাশেজ সিরিজের দামামা বেজে গিয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে টেস্ট যুদ্ধের নকশা সাজানো তৈরি হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার (India vs Australia)। যে কারণে জশ হ্যাজলউড, ট্র্যাভিস হেডদের টি-২০ সিরিজের শেষ পর্বে আর খেলানো হচ্ছে না। কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে টি-২০ সিরিজকে যে হাল্কাভাবে নিচ্ছে না অস্ট্রেলিয়া, চতুর্থ ম্যাচে একাদশে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো বিধ্বংসী ব্যাটারকে ফিরিয়ে বুঝিয়ে দিলেন মিচেল মার্শরা।
গোল্ড কোস্টে টস জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার আগের ম্যাচের দল থেকে চারজনকে পরিবর্তন করলেও, ভারত বিজয়ী দলের কম্বিনেশনই ধরে রেখেছে। টিম ইন্ডিয়ার অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব টসের পরই বলেছিলেন যে, উইকেট অনেকটা উপমহাদেশের পিচের মতো মনে হচ্ছে। ম্য়াচ যত গড়াবে, মন্থর হবে। সেই কারণে প্রথমে ব্যাট করে নিতে পেরে তাঁরা খুশিই।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অন্তত দেখা গেল, খুব একটা ভুল বলেননি সূর্য। কারণ, উইকেটে শুরুর দিকে বল পড়ে ভালভাবে ব্যাটে এলেও, ম্যাচ যত গড়িয়েছে, স্ট্রোক খেলা কঠিন হয়েছে। সেই পিচে শুরুতে ব্যাটিং করে ভারত তুলল ১৬৭/৮। দুই ওপেনার করলেন ভারতের ইনিংসের সর্বোচ্চ দুই রান। শুভমন গিল ৩৯ বলে ৪৬ রান করে নাথান এলিসের বলে বোল্ড হন। তিনিই ভারতের সর্বোচ্চ স্কোরার। অপর ওপেনার অভিষেক শর্মা শুরুতেই জীবন পেয়েছিলেন। শুরুতেই অভিষেক শর্মার ক্যাচ ফেলে দেন জ়েভিয়ার বার্টলেট। তখনও কোনও রান করেননি অভিষেক। জীবন ফিরে পেয়ে ২১ বলে ২৮ রান করে গেলেন বাঁহাতি ওপেনার।
অস্ট্রেলিয়ার স্পিনার অ্যাডাম জ়াম্পা ছন্দে থাকলে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন। তাঁকে অকেজো করার জন্যই ব্যাটিং অর্ডারে শিবম দুবেকে প্রোমোশন দেওয়া হয়েছিল। স্পিনারদের বলে বড় বড় ছক্কা মারায় দড় শিবম। জ়াম্পাকে ছক্কাও মারলেন। তিন নম্বরে নেমে ১৮ বলে ২২ রান করলেন। অধিনায়ক সূর্যকুমার চার নম্বরে নেমে ১০ বলে করেন ২০ রান। তিনি জ়াম্পাকে এক ওভারে জোড়া ছক্কা মারেন।
তবে শেষ দিকে পরপর উইকেট হারায় ভারত। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৭/৮ স্কোরে আটকে যায়। সেটাও সম্ভব হয় শেষ লগ্নে অক্ষর পটেল ঝোড়ো ব্যাটিং করে ১১ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন জ়াম্পা ও নাথান এলিস।