মেলবোর্ন: বক্সিং ডে টেস্টে বিরাট কোহলি ও স্যাম কনস্টাসের (Border Gavaskar Trophy) মাঠেই ধাক্কাধাক্কি ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রথম দিনের খেলার শেষেই ম্যাচ ফি-র ২০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে কোহলিকে। তবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া টেস্ট ম্যাচে এই প্রথম নয়, এর আগেও বারবার মাঠেই হয়েছে তুমুল বিতর্ক। সেরকমই কিছু ঘটনা ফিরে দেখা।


মেলবোর্ন, ১৯৮১


১৯৮১ সালে এই মেলবোর্নেই ওপেনিং পার্টনার চেতন চৌহানকে নিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন সুনীল গাওস্কর। সানি অভিযোগ করেছিলেন, তাঁকে এলবিডব্লিউ করার পর অশ্লীল মন্তব্য করেছিলেন লিলি।


অ্যাডিলেড, ১৯৯৯-২০০০


গ্লেন ম্যাকগ্রার শর্ট বল ডাক করেছিলেন সচিন তেন্ডুলকর। বল সচিনের কাঁধে লাগে। তা সত্ত্বেও তাঁকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার ডারিল হার্পার। যিনি ভারতের বিরুদ্ধে বারবার বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেবারও হয় জোর বিতর্ক।


মুম্বই, ২০০১


রাহুল দ্রাবিড়ের পুল শট মাটিতে পড়ার আগেই তালুবন্দি করেছেন বলে দাবি করেন মাইকেল স্ল্যাটার। কিন্তু আম্পায়ার এস বেঙ্কটরাঘবন আউট দেননি। দ্রাবিড়ও মাঠ ছেড়ে যাননি। স্ল্যাটার দ্রাবিড়ের উদ্দেশে অশ্লীল মন্তব্য করেন। স্ল্যাটারের মোটা জরিমানাও হয়।


সৌরভ বনাম স্টিভ, ২০০১


ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় টসের আগে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন স্টিভ ওয়কে। সৌরভ পরে জানান, তিনি ব্লেজার পরে মাঠে নামতে ভুলে গিয়েছিলেন বলে দেরি হয়। যদিও স্টিভ নিজের আত্মজীবনীতে দাবি করেন, সৌরভ সাতবার তাঁকে টসের আগে অপেক্ষা করিয়েছিলেন।


সিডনি, ২০০১


কুখ্যাত মাঙ্কিগেট কাণ্ড। হরভজন সিংহের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তিনি অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের উদ্দেশে বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করেছেন। পরে হরভজন জানান, তিনি মাকে নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন। সেটিই সাইমন্ডস 'মাঙ্কি' শোনেন। জল গড়িয়েছিল সিডনি কোর্ট পর্যন্ত। শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি গঠন করা হয়। তিন টেস্টে নির্বাসিত করা হয় হরভজনকে। পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বিরোধিতায় সেই শাস্তি তুলেও নেওয়া হয়।





সেই টেস্টের শেষেই ভারত অধিনায়ক অনিল কুম্বলের সেই বিখ্যাত মন্তব্য। 'একটা দলই এখানে ক্রিকেটের স্পিরিট মেনে খেলেছে।'


মোহালি, ২০০৮


হরভজনের বলে ম্যাথু হেডেন আউট হতেই আগ্রাসী উৎসবব করেন জাহির খান। পরে তাঁর ম্যাচ ফি-র ৮০ শতাংশ কাটা যায়। সেই সিরিজেই দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলাতে গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে অশান্তি বাঁধে শেন ওয়াটসনের। অভিযোগ ওঠে, বোলারকে ধাক্কা মেরে রান নেন গম্ভীর। সেই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করেন গৌতি। যদিও পরের ম্যাচে নির্বাসিত হন তিনি।


মোহালি, ২০১০


রান আউট হয়ে ফিরছিলেন রিকি পন্টিং। অভিযোগ, জাহির খান তাঁকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করেন। ঘুরে দাঁড়িয়ে পাল্টা কথা শোনান পন্টিং। আম্পায়ার বিলি বাউডেন হস্তক্ষেপ করেন। 


সিডনি, ২০১১-১২


মাইকেল ক্লার্ক ত্রিশতরান করেন। অভিযোগ ওঠে, গ্যালারি থেকে বিদ্রুপ হজম করতে না পেরে মধ্যাঙ্গুলি দেখিয়েছেন বিরাট কোহলি। সেই সিরিজে পারথে মাঠের বাইরে ইশান্ত শর্মাও একই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে।


পারথ, ২০১১-১২


ভারতীয় টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে, ম্যাচ শুরুর আগে মাঠকর্মীদের অনেকে বিয়ার পান করে পিচের ধারে শুয়ে রয়েছেন। ভারতীয় শিবির স্তব্ধ হয়ে যায়। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।


আরও পড়ুন: 'এদের সঙ্গে হেসে কথা বলিস না', কোহলির বার্তা ভাইরাল, যশস্বীকে ধমক রোহিতের