IND vs BAN Live: বলে অর্শদীপ, ব্যাটে হার্দিকদের দাপটে গ্বালিয়রে ৭ উইকেটে জয় পেয়ে সিরিজ়ে এগিয়ে গেল ভারত
India vs Bangladesh T20 Live: বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ পাঁচটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে অপরাজিত ভারতীয় ক্রিকেট দল।
দর্শকদের মাঝে হারিয়ে গেল বল। লম্বা ছক্কা হাঁকিয়ে জয় সুনিশ্চিত করল ভারত। এমন ছবি আগেও দেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। গ্বালিয়রেও এমন ভঙ্গিমাতেই ভারতের জয় সুনিশ্চিত করলেন হার্দিক পাণ্ড্য। ৪৯ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই বাংলাদেশকে হারাল টিম ইন্ডিয়া।
দুরন্ত ছন্দে সূর্যকুমার ২৯ রানে সাজঘরে ফিরলেও, এতটুুকু কমেনি রানের গতি। তবে সঞ্জু স্যামসনও বড় শট মারতে গিয়ে ফিরলেন। তাঁর সংগ্রহও ২৯ রান। ৮ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৮৪/৩।
দারুন ছন্দে ব্যাট করছিলেন। তবে বোঝাপড়ার ভুলেই কাল হল। হৃদয়ের ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট হয়ে সাজঘরে ১৬ রানে ফিরলেন অভিষেক শর্মা। ২৫ রানে প্রথম উইকেট হারাল ভারত।
১২৭ রানেই অল আউট হয়ে গেল বাংলাদেশ। নিখুঁত ইয়র্কারে মুস্তাফিজুর রহমানের উইকেট ভেঙেই বাংলাদেশ ইনিংস সমাপ্ত করলেন অর্শদীপ।
মাত্র ৭৫ রান, আর তাতেই ছয় উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ। এবার ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার অধিনায়ক শান্ত। তাঁর সংগ্রহ ২৭ রান।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সাফল্য ময়ঙ্ক যাদবের। অভিজ্ঞ মাহমাদুল্লাহকে এক রানে ফেরত পাঠালেন ময়ঙ্ক। ৫০ রানের গণ্ডি পার করার আগেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ।
ভারতের হয়ে তৃতীয় সাফল্য পেলেন বরুণ চক্রবর্তী। তৌহিদ হৃদয় ফিরলেন ১২ রানে। সাত ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৪২ রানের বিনিময়ে তিন উইকেট।
নিজের কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ওভার মেডেন দিলেন ময়ঙ্ক যাদব। পাওয়ার প্লের ছয় ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দুই উইকেটের বিনিময়ে ৩৯।
নিজের ২টো ওভারে পরপর দুটো উইকেট তুলে নিলেন অর্শদীপ সিংহ। ফেরালেন বাংলাদেশের ২ ওপেনারকেই।
প্রত্যাশামতোই ভারতীয় দলে গ্বালিয়রে জোড়া অভিষেক ঘটতে চলেছে। প্রথমবার টিম ইন্ডিয়ার জার্সিতে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে মাঠে নামছেন নীতীশ কুমার রেড্ডি ও ময়ঙ্ক যাদব।
টস জিতল ভারতীয় দল। টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন সূর্যকুমার যাদব।
সচিনের ওয়ান ডেতে দ্বিশতরানে ১৪ বছর পর আবার গ্বালিয়রে বসছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর। গ্বালিয়রে নতুন স্টেডিয়ামে হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ।
প্রেক্ষাপট
গ্বালিয়র: দর্শকদের মাঝে হারিয়ে গেল বল। লম্বা ছক্কা হাঁকিয়ে জয় সুনিশ্চিত করল ভারত। এমন ছবি আগেও দেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা। গ্বালিয়রেও এমন ভঙ্গিমাতেই ভারতের জয় সুনিশ্চিত করলেন হার্দিক পাণ্ড্য (Hardik Pandya)। সঙ্গে সঙ্গেই তৈরি হল ইতিহাসও।
প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে (IND vs BAN 1st T20I) ৪৯ বল ও সাত উইকেট হাতে রেখেই বাংলাদেশকে হারাল টিম ইন্ডিয়া। বলের নিরিখে এটা বিশ ওভারের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবথেকে বড় জয়। ভারতের হয়ে সর্বাধিক ৩৯ রান করে অপরাজিত রইলেন হার্দিক। তাঁর ইনিংস এল মাত্র ১৬ বলে। অভিষেক নীতীশ রেড্ডির সংগ্রহ ১৫। তিনিও অপরাজিত রইলেন। হার্দিকের পাশাপাশি আগ্রসী ইনিংসে নজর কাড়েন সঞ্জু স্যামসন ও অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদবও (SuryaKumar Yadav)। উভয়েরই সংগ্রহ ২৯ রান।
১২৭ রান তাড়া করতে নেমে ভারতীয় দল অভিষেক শর্মার দৌলতে শুরুটা বেশ আগ্রাসী মেজাজেই করেছিলেন। তাঁর নতুন ওপেনিং পার্টনার স্যামসন খানিক দেখেশুনে এগোচ্ছিলেন। তবে ছোট্ট বোঝাপড়ার ভুলেই রান আউট হয়ে ১৬ রানে ফিরতে হয় অভিষেককে। তবে স্যামসন ও সূর্যকুমার দুরন্ত ছন্দে ছিলেন। তাঁদের দৌলতেই তড়তড়িয়ে এগিয়ে যায় ভারতীয় ইনিংস। দুইজনে ৪০ রান যোগ করেন। তবে স্যামসন বা সূর্যকুমার, কেউই ম্যাচটা শেষ করে যেতে পারেননি। হার্দিক নিজের কাঁধেই সেই দায়িত্ব তুলে নেন।
চার মেরেই নিজের ইনিংস শুরু করেন তিনি। গোটা ইনিংস জুড়ে বোলারদের থিতুই হতে দেননি হার্দিক। তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং এবং নীতীশের পরিপক্ক ইনিংস ভারতের জয় সুনিশ্চিত করে। তবে জয়ের ভিতটা গড়েছিলেন ভারতীয় বোলাররা।
ম্যাচে টস জিতে এদিন প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। তাঁর সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে ম্যাচের প্রথম ওভারেই সাফল্য পান অর্শদীপ সিংহ। লিটন দাসকে চার রানে ফেরত পাঠান সাজঘরে। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আরেক ওপেনার পারভেজ ঈমনকেও আউট করেন অর্শদীপই। ময়ঙ্ক যাদব বল হাতে তুলে নিয়েই নজর কাড়েন। প্রথম ওভারে সাফল্য না পেলেও, মেডেন নেন তিনি। পরের ওভারে মেলে মাহমাদুল্লাহের উইকেটও।
বরুণ চক্রবর্তীর দাপটে বাংলাদেশ মিডল অর্ডারের কেউই এদিন বড় রান পাননি। অধিনায়ক শান্ত বেশ লড়ছিলেন। তবে তিনিও মাত্র ২৭ রানে ওয়াশিংটনের বলে সহজ ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। শেষের দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৫ রানের ইনিংস না খেললে বাংলাদেশের হয়তো শতরানের গণ্ডি পার করাও চাপ হত। কোনওক্রমে ১২৭ রান তোলে ওপার বাংলার দল। সেই রান যে জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না, তা বলাই বাহুল্য।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -