কানপুর: গ্যালারিতে ঠাঁয় বসে আছেন তখনও প্রচুর দর্শক। দুপুর ২ টোয় আম্পায়ারদের পর্যবেক্ষণের পর খেলা শুরু করা হবে, এই আশাই করছিলেন সবাই। কিন্তু দ্বিতীয় দিনের মত তৃতীয় দিনের খেলা ও ভেস্তে গেল। একটি বলও খেলা হল না। বৃষ্টির দেখা পাওয়া গেল না। কিন্তু মাঠের হাল এতটাই খারাপ যে খেলা শুরুর নির্ধারিত সময়ের পর ৪.৩০ ঘণ্টা পেরিয়েও তা খেলার উপযুক্ত করা গেল না। অগত্যা দু দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে ও অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলে শেষ পর্যন্ত তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হলেন আম্পায়াররা। হতাশাই সঙ্গী থাকল কানপুরের দর্শকদের।


গতকাল সারাদিনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির জন্য এক বল খেলাও সম্ভব হয়নি গ্রিন পার্কে। তার আগে প্রথম দিন মাত্র ৩৫ ওভার খেলা সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৭ রান বোর্ডে তুলেছিল। এরপর আর খেলা চালানোই সম্ভব হয়নি। এদিন সকাল থেকে কানপুরে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। কিন্তু তবুও নির্ধারিত সময়ে সকাল ৯.৩০টায় খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি। গোটা মাঠ প্রথমে কভারে ঢাকা ছিল। পরে কভার সরানো হয় রোদ উঠলে। কিন্তু কোনওভাবেই পুরো মাঠ শোকানো সম্ভব হয়নি। আম্পায়াররা দুবার আলাদা আলাদা সময়ে মাঠ পর্যবেক্ষণ করেন। কিন্তু তবুও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে বাউন্ডারি লাইনের ধারগুলোতে খুবই বাজে অবস্থা ছিল। তাই খেলা শুরু করার পথে হাঁটেননি আম্পায়াররা। 


ম্য়াচে প্রথমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ২ ওপেনারের কেউই রান করতে পারেননি সেভাবে। অধিনায়ক শান্ত ৩১ রানের ইনিংস খেলেন। ২৪ রান করেন শাদমান খান। প্রথম দিনের খেলায় যখন ইতি টানা হয় তখন ৪০ রানে অপরাজিত আছেন মোমিনুল হক। ৬ রান করে অপরাজিত মুশফিকুর রহিম।


এদিকে, কানপুরে অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মা ৬০ বছর আগের এক ঘটনার পুণরাবৃত্তি করলেন। গত ৬০ বছরে কোনও ভারত অধিনায়ক এমনটা করেননি কখনও। শেষবার ১৯৬৪ সালে প্রয়াত মনসুর আলি খান পতৌদি টস জিতে গ্রিন পার্কে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেবার প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। এবার ভারতের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ। এছাড়াও গত ৯ বছরে ঘরের মাঠে প্রথমবার টস জিতে আগে ফিল্ডিং করছে টেস্টে ভারত। এর আগে ২০১৫ সালে চিন্নাস্বামীতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরদ্ধে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তৎকালীন ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি।