হায়দরাবাদ: ম্যাচের শেষে আফশোস করতে পারেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। রিশাদ হোসেনের ওভারের প্রথম বলটি যদি প্যাডে না লাগত। যদি উড়ে যেত গ্যালারির দিকে। তাহলেই বিশ্বরেকর্ডে ভাগ বসাতেন। যুবরাজ সিংহের কীর্তি স্পর্শ করতেন। আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কার রেকর্ড হতো।


প্রথম বলে পারেননি। তবে বাংলাদেশের বোলার রিশাদের পরের পাঁচ বলই স্ট্যান্ডের বিভিন্ন জায়গায় ফেললেন স্যামসন। টানা পাঁচটি ছক্কা। মনে করালেন রিঙ্কু সিংহকে। 


২০২৩ সালের আইপিএল। গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ২৯ রান বাকি ছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। কেকেআর সমর্থকেরা আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। কিন্তু যশ দয়ালের এক ওভারে পরপর পাঁচ ছক্কা মেরে অসাধ্য সাধন করেছিলেন রিঙ্কু। ওই একটা ইনিংস তাঁকে খ্যাতির আলোয় নিয়ে এসেছিল। সেখান থেকেই ভারতীয় দলে ডাক।


 






অন্যদিকে স্যামসন ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন অনেক আগে। কিন্তু নিয়মিত হতে পারেননি। কখনও ঋষভ পন্থ, তো কখনও ঈশান কিষাণ গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্টে খেলেছেন। স্যামসনকে অপেক্ষা করতে হয়েছে মাঠের বাইরে।


আরও পড়ুন: আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস ছাড়ছেন ঋষভ পন্থ? কেন এমন পোস্ট করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়?


সব আক্ষেপ যেন নিজামের শহরে মেটালেন কেরলের ক্রিকেটার। মাত্র ২২ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। পঞ্চাশ পূর্ণ করেছিলেন রিশাদকে ছক্কা মেরেই। সেই রিশাদকেি নির্মমভাবে এক ওভারে পাঁচ ছক্কা হজম করার তিক্ত অভিজ্ঞতা উপহার দিলেন স্যামসন। মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি। ৪৭ বলে ১১১ রান করে যখন ফিরলেন, রানের পাহাড়ে ভারত।


সঞ্জু ও সূর্যকুমার মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ১৭৩ রান। যা আন্তর্জাতিক টি-২০ ক্রিকেটে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা পার্টনারশিপটিতেও ছিলেন সঞ্জু। দীপক হুডার সঙ্গে মিলে তুলেছিলেন ১৭৬ রান। 


বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শনিবার হায়দরাবাদে ৪৭টি বাউন্ডারি মেরেছে ভারত। টি-২০ ক্রিকেটে কোনও এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি চার মারার নজির এটাই।


আরও পড়ুন: নিজামের শহরে ভারতের দাদাগিরি, সঞ্জু-সূর্যদের ব্যাটের চাবুকে কোণঠাসা বাংলাদেশ





আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।