বার্মিংহাম: এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে (India vs England 2nd Test) প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনে খানিকটা মন্থর গতিতে দেখেশুনেই এগোলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। দ্বিতীয় সেশনে ৮৪ রান তুলল ভারত। তবে দুর্ভাগ্যবশত যশস্বী জয়সওয়াল (Yashasvi Jaiswal) শতরানের দোরগোড়ায় ৮৭ রানে আউট হন। প্রথম দিনের দ্বিতীয় সেশনের শেষে ভারতীয় দলের স্কোর তিন উইকেটের বিনিময়ে ১৮২ রান। আপাতত শুভমন গিল ৪২ ও ঋষভ পন্থ ১৪ রানে ব্যাট করছেন।
টস হেরে প্রথমে ব্যাটে নামে ভারতীয় দল। শুরুটা অত্যন্ত রক্ষণাত্মকভাবেই করেছিলেন যশস্বী ও রাহুল। ক্রিস ওকসের দুরন্ত স্পেলে রান করতে বিপাকে পড়ে ভারতীয় দল। শেষমেশ ওকসের বল ডিফেন্ড করতে গিয়েই প্লেডঅন হন রাহুল। মাত্র ১৫ রানে ওপেনিং পার্টনারশিপ ভাঙে। সাই সুদর্শনের অনুপস্থিতিতে এদিন তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন করুণ নায়ার।
শুরুটা কিন্তু করুণ মন্দ করেননি করুণ। তিনি বেশ দেখেশুনে এগোন। ওকসের স্পেল শেষ হওয়ার পরেই রানের গতিও বাড়ে। বিশেষ করে যশস্বী দলের ইনিংস এগিয়ে যান বেশ দ্রুত গতিতে। করুণ নায়ারও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন। দুইজনে মিলে দেখতে দেখতে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেন।মাত্র ৫৯ বলে হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন যশস্বীও। মনে হচ্ছিল শুরুতে উইকেট হারালেও, তাঁরা লাঞ্চের আগে প্রথম সেশনটা ভারতের নামেই করতে সক্ষম হবেন।
তবে হঠাৎই লাঞ্চের ঠিক কয়েক মিনিট আগে ব্রাইডন কার্সের এক বল গুড লেংথ থেকে দারুণভাবে লাফায়। বল করুণ নায়ারের দস্তানায় লেগে স্লিপে যায়। লোপ্পা ক্যাচ ধরেন হ্যারি ব্রুক। শুরুটা ভাল করেও ৩১ রানেই তাঁকে ফিরতে হয়। যশস্বী ও শুভমন গিল অবশ্য় সেশনে শেষের আগে আর যাতে কোনও উইকেট না পড়ে, তা সুনিশ্চিত করেন।
দ্বিতীয় সেশনে প্রথম ওভারেই যশস্বী ভারতীয় দলকে শতরানের গণ্ডি পার করান। এই সেশনে তিনি ও গিল, উভয়েই ক্রিস ওকসদের বিরুদ্ধে বেশ দেখেশুনেই ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। যশস্বী নাগাড়ে দ্বিতীয় শতরানের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। তবে বেন স্টোকসের বিরুদ্ধে বেশ বাইরের একটি বল মারতে গিয়ে কিপারের হাতে ক্যাচ দেন যশস্বী। ৮৭ রানেই তাঁকে সাজঘরে ফিরতে হয়। বাকি সময়টা গিল ও ঋষভ পন্থ দেখেশুনেই ইনিংসটা এগিয়ে নিয়ে যান। সেশনে আর কোনও উইকেট পড়েনি ভারতীয় দল। ম্যাচ কিন্তু বর্তমানে একেবারে ৫০-৫০। একটা ভাল পার্টনারশিপ বা দুরন্ত স্পেল ম্যাচের কোনও এক দলের দিকে ঘুরিয়ে দিতে পারে। এক টানটান তৃতীয় সেশনের আশা করাই যায়।