হেডিংলে: ২০১৭ সালের পর ২০২৫। দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান হয়েছিল। মাঝে আট বছরে বারবার তিনি আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। কারণ সুযোগই মেলেনি। অবশেষে সুযোগ মিলল ইংল্য়ান্ড সিরিজে। প্রথম টেস্টেই একাদশে জায়গা হল। কিন্তু রান পেলেন না করুণ নায়ার। এমনকী বলা ভাল খাতাই খুলতে পারলেন না তিনি। বেন স্টোকসের বলে ওলি পোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলেন করুণ নায়ার। কভার ড্রাইভ খেলেছিলেন। শটও খারাপ ছিল না। কিন্তু ভাগ্য সহায় হল না। পোপের হাতে ধরা পড়ে গেলেন। আট বছর পর প্রত্যাবর্তন ইনিংসে শূন্য় রানে আউট হয়েই প্যাভিলিয়ন ফিরলেন কর্ণাটকী ব্যাটার।
ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্য়াচেও দ্বিশতরান হাঁকিয়েছিলেন। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে, রঞ্জি ট্রফিতে এমনকী দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতে গত আইপিএলেও একটি ম্য়াচে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স ছিল। যার জন্য় করুণ নায়ারকে জাতীয় দলে ফেরানোর দাবি আরও বেশি করে জোরালো হচ্ছিল। গত বর্ডার গাওস্কর ট্রফির সময়ও করুণকে খেলানোর দাবি উঠেছিল। কিন্তু সেই সমও জাতীয় দলে শিকে ছেঁড়েনি। অবশেষে ইংল্যান্ড সফরের আগে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি টেস্ট থেকে অবসর নেওয়ায় দরজা ফের খুলে যায় করুণের জন্য। এমনকী নির্বাচক প্রধান অজিত আগরকরও বলেছিলেন যে বিরাটের জায়গা একজন অভিজ্ঞ ব্যাটার মিডল অর্ডারে প্রয়োজন। যেই অভাব মেটাতে পারেন করুণ।
ইংল্যান্ডে পা রেখে নিজেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে তাঁকে কেন বারবার আলোচনার মধ্য়ে আনা হচ্ছে। প্রস্তুতি ম্য়াচে দ্বিশতরান হাঁকানো করুণের প্রথম টেস্টে প্রথম একাদশে খেলা যে চূড়ান্ত ছিলই, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু ব্যাট হাতে প্রত্যাবর্তনের ইনিংসটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না ডানহাতি ব্যাটার। শুভমন গিল ১৪৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার পর নেমেছিলেন ব্যাট হাতে। স্টোকসের সামনে প্রথম তিনটি বলে সাবলীলভাবে ডিফেন্স করলেও চতুর্থ বলে ফাঁদে পা রাখেন। অফস্ট্যাম্পের বাইরের বলে খোঁচা মেরে আউট হলেন। কভারের ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারি লাইনে বের করতে চাইছিলেন। কিন্তু শর্ট কভারে দাঁড়িয়ে ছিলেন ওলি পোপ। যেন সেই ক্যাচটি লোফার জন্য়ই তাঁকে দাঁড় করানো হয়েছিল। এক হাতে দুরন্ত ক্যাচ লুফে নিলেন। এই বছরের টেস্টে সেরা ক্যাচও হয়ে যেতে পারে এটি। খালি হাতেই প্যাভিলিয়ন ফিরতে হল প্রথম ইনিংসে করুণ নায়ারকে।