চেন্নাই: প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড (India vs England) যখন ১৬৫ রানে আটকে গেল, আর রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই ইংরেজ পেসার জোফ্রা আর্চারকে তিন-তিনটি বাউন্ডারি মারলেন আগের ম্যাচের নায়ক অভিষেক শর্মা, কেউ কি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পেরেছিলেন যে, এই ম্যাচের এমন রুদ্ধশ্বাস পরিণতি হবে?


কিন্তু ফর্ম্যাট যখন টি-২০, তখন এক ওভারেও ঘুরে যেতে পারে ম্যাচের মোড়। তাই ১৬৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারে ১৩ রান তুলে ফেলার পরেও ভারতকে দেখতে হল, স্কোরবোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ১৫ ওভারে স্কোর ১২৬/৭। ম্যাচ জিততে ৫ ওভারে ৪০ রান চাই তখনও। এবং, একা কুম্ভ হয়ে লড়াই করছিলেন তিলক বর্মা।


তারপর থেকে প্রত্যেক বলে যেন ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদস্পন্দন অনুভব করা যাচ্ছিল। কখনও অর্শদীপ সিংহ ক্রিজে নেমেই বাউন্ডারি মেরে দিচ্ছেন, তো সেই ওভারেই ফাঁদ পেতে তাঁকে আউট করছেন আদিল রশিদ।


তবে সব কিছু ঢাকা পড়ে গেল তিলক বর্মার অবিশ্বাস্য ইনিংসে। ৫৫ বলে অপরাজিত ৭২ রান করে ভারতকে ২ উইকেটে ম্যাচ জেতালেন তরুণ তুর্কি। ৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ভারত।


আর তিলকের এই কীর্তি দেখা গেল মহেন্দ্র সিংহ ধোনির গড়ে। চেন্নাই সুপার কিংসের ঘরের মাঠ চিপকে। ফিনিসার ধোনির মন্ত্রই ছিল, রান তাড়া করতে নামলে ম্যাচ টেনে নিয়ে যাও। এমন জায়গায় নিয়ে যাও যেখানে খেলার ভাগ্য দাঁড়িয়ে থাকবে ২-১ ওভারে। তারপর নাও ঝুঁকি। তাতে লাগলে তুক, না লাগলে তাক। মাথা ঠাণ্ডা করে এই ফর্মুলাতেই একের পর এক রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ ভারতকে জেতাতেন ধোনি।


সেই ফর্মুলাতেই শনিবার ভারতকে জেতালেন তিলক। ৫ ওভারে ৪০ বাকি, জোফ্রা আর্চারকে এক ওভারে জোড়া ছক্কা ও এক চার মেরে ম্যাচের মোড় ঘোরালেন। কিন্তু তারপরেও ম্যাচ পেণ্ডুলামের মতো দুলল কখনও ভারতের দিকে, কখনও ইংল্যান্ডের দিকে। ৪ ওভারে বাকি ২১। হাতে তিন উইকেট। আদিল রশিদ ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নিলেন অর্শদীপকে। 


তিন ওভারে বাকি ছিল ২০ রান। ২ ওভারে ১৩ রান। শেষ ওভারে ৬ রান। জেমি ওভার্টনকে বাউন্ডারি মেরে লক্ষ্যপূরণ তিলকের।


আরও পড়ুন: কপিল দেবের রাজ্যের এ কে ফর্টি সেভেনে ঝাঁঝরা বাংলার স্বপ্ন, ধোনির পরামর্শের অপেক্ষায়