রাজকোট: গত বছরের জুনে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতা ইস্তক ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে ১৭টি ম্যাচ খেলেছে ভারত (India vs England)। তার মধ্যে ১৫টি জয়, ২টি পরাজয়। ক্রিকেটের এই ফর্ম্যাটে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে ভারত। দলের একাধিক বড় তারকার অবসর ঘোষণা, ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত, কোচ বদল, নেতৃত্বে নতুন মুখ - তাতেও ভারতের শাসন অক্ষুণ্ণ। অনেকে তো বলাবলি শুরু করে দিয়েছেন, যশপ্রীত বুমরা ও কুলদীপ যাদব এই ফর্ম্যাটে ফিরলে কী মারাত্মক দল হয়ে উঠতে পারে টিম ইন্ডিয়া।
সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে দল গুছিয়ে নিয়েছে ভারত। অভিষেক শর্মা ও সঞ্জু স্যামসন ওপেনিংয়ে এত ভাল খেলছেন যে, যশস্বী জয়সওয়ালের মতো তরুণ প্রতিভাবান দলে কোথায় জায়গা পাবেন, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলছে ভারত। যা অন্তত এই ফর্ম্যাটে গুরু গম্ভীরকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও রবীন্দ্র জাডেজার অবসরের পর এই ফর্ম্যাটে ভারতের সন্ধিক্ষণ মসৃণভাবেই হয়েছে।
যদিও ২০১৯ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ও ২০২২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পরেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের পারফরম্যান্সকে বারবার আতসকাচের তলায় ফেলা হচ্ছে। পরপর দুই বিশ্বকাপে অধিনায়ক জস বাটলারের পারফরম্যান্স নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সাদা বলের ক্রিকেটে ব্রেন্ডন ম্যাকালামের কোচ হিসাবে প্রবেশ এখনও ছাপ ফেলতে পারেনি। টি-২০ বিশ্বকাপে হারের পর ভারতের মাটিতে সিরিজ হারলেও তা বেশ জোরাল ধাক্কা হবে ইংরেজদের কাছে।
আরও পড়ুন: এখনও রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারে বাংলা! কোন অঙ্কে?
জোফ্রা আর্চার ও মার্ক উডের আগুনে গতি নজর কাড়লেও ব্যাটিং নিয়ে সমস্যা রয়েছে। ভারতীয় স্পিনারদের খেলতে পারছেন না ইংরেজ ব্যাটাররা। শেষ পাঁচ টি-২০ ম্যাচের তিনটিতেই হেরেছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ভারত শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই জিতেছে। রাজকোটে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচে স্পিন জালেই ফের ইংল্যান্ডকে ঘায়েল করতে চাইবে ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট। টি-২০ সিরিজে কী ৩-০ হবে রাজকোটেই? দেখার অপেক্ষায় ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা।