চেন্নাই: টি-২০ সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে বোমা ফাটিয়েছিলেন ইংরেজ ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক (Harry Brook)। কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ভারতের স্পিন ত্রিফলার সামনে নাকানিচোবানি খেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। ব্রুকও রান পাননি। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে আউট হয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছিল।
চেন্নাইয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে ব্রুক বলেছিলেন, কলকাতায় ধোঁয়াশার কারণে নাকি তাঁর বল দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণে বরুণের বল তিনি বুঝতে পারেননি। চেন্নাইয়ে সেই সমস্যা হবে না বলেও আগাম হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন তিনি।
ইংরেজ তরুণের সেই কথা নিশ্চয়ই কানে গিয়েছিল বরুণের। শনিবার চিপকে ফের নাস্তনাবুদ করে ছাড়লেন ব্রুককে। তাঁর বল চকিতে ঘুরল, লাফাল, আর ব্যাট প্যাডের মাঝের ফাঁক খুঁজে নিয়ে ভেঙে দিল স্টাম্প। মুহূর্তের মধ্যে কী যে হয়ে গেল, বুঝেই উঠতে পারলেন না ব্রুক। ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে দেখলেন, বেল জোড়া মাটিতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। ব্রুক বুঝতে পারলেন, কতটা অপদস্থ হতে হয়েছে তাঁকে। হেসে ফেললেন ইংরেজ তরুণ। যেন হাসির আড়ালে মনের যন্ত্রণা গোপন করতে চাইলেন। ধোঁয়াশা তত্ত্বও মুখ থুবড়ে পড়ল মাটিতে।
আর বরুণ শুধুমাত্র চেয়ে রইলেন। উজ্জ্বল সেই চাহনি। কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত। যেন বার্তা দিলেন ব্রুককে যে, ধোঁয়াশা থাকুক বা না থাকুক, তিনি বল হাতে যে কোনও দিন ব্রুককে বোকা বানিয়ে আউট করতে পারেন।
শনিবার বরুণের বলে আগের ম্যাচের আদলে আউট হওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় চরম কটাক্ষের মুখে পড়তে হল হ্যারি ব্রুককে। নেটিজেনরা তো বটেই, ইংরেজ তারকাকে ছাড়লেন না রবি শাস্ত্রী, সুনীল গাওস্করের মতো ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটারেরাও। ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ তথা ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী একেবারে চাঁচাছোলা ভাষায় বলেছেন, 'ওর কুয়াশা চাই না। বলটা (এমনিতেই) ভিতরে ঢুকে গিয়ে (স্টাম্পে আছড়ে পড়ল)।' গাওস্কর বলেন, 'হ্যারি ব্রুকের দিকে তাকিয়ে বরুণ চক্রবর্তী বলছে, তুমি কি এখানেও কুয়াশা দেখতে পাচ্ছো?'
আরও পড়ুন: কপিল দেবের রাজ্যের এ কে ফর্টি সেভেনে ঝাঁঝরা বাংলার স্বপ্ন, ধোনির পরামর্শের অপেক্ষায়