পুণে: তাঁকে বলা হয় চেজ়মাস্টার। রান তাড়া করার সময় বরাবর তিনি স্নায়ুর চাপ সামলে দলের প্রয়োজনে নিজের সেরা ছন্দ মেলে ধরেন। কিন্তু পুণেতে নিউজ়িল্যান্ডের (IND vs NZ) বিরুদ্ধে পারলেন না বিরাট কোহলি (Virat Kohli)।


সামনে লক্ষ্য ছিল ৩৫৯ রানের। শনিবার শুভমন গিল আউট হতে বিরাট যখন ক্রিজে যান, ৯৬ রান উঠে গিয়েছে বোর্ডে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা মুখিয়ে ছিলেন কোহলির ব্যাটে বড় রান দেখার জন্য। কোহলি শুরুটাও করেছিলেন ভালভাবে। ধারাভাষ্যকার রবি শাস্ত্রী তখন বলছিলেন, 'বিরাটের যেটা দরকার, সেটা হল ক্রিজে সময় কাটানো। ২০-২৫ মিনিট ক্রিজে থাকলেই শট খেলতে পারবে।' হয়েওছিল তাই। ৫৫ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ফেলেছিলেন কোহলি।


কিন্তু তারপরই ছন্দপতন। মিচেল স্যান্টনারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান কোহলি। ৪০ বলে ১৭ রান করে। স্যান্টনারের লেংথ বল সামনের দিকে খেলতে যান বিরাট। বল তাঁর প্যাডে লাগে। স্যান্টনার আবেদন করতেই মাঠের আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ আঙুল তুলে দেন। তবে সেই সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি কোহলির। এরপরই তিনি ডিআরএস নেন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্পের একেবার বাইরের দিকে কানা ঘেঁষে বেরিয়ে যাচ্ছে। সেই কারণে আম্পায়ার শেষ পর্যন্ত নিজের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন। আম্পায়ার্স কলের সুবিধা পায় নিউজ়িল্যান্ড।


 






আউট হয়ে বিরাট স্তম্ভিত হয়ে যান। তিনি যেন নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। আউট হওয়ার পরও বিরাট কিছুক্ষণ উইকেটে দাঁড়িয়ে থাকেন। প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ার সময় বিরাট আম্পায়ারের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভও উগরে দেন। মাঠ ছেড়ে বেরনোর পর ড্রেসিংরুমের সিঁড়ির ধারে রাখা একটি জলের বাক্সে ব্যাট দিয়ে সজোরে আঘাত করেন কোহলি। যেন নিজের হতাশা সেখানেই বার করেন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।


যদিও সমালোচনার শিকার হতে হয়েছে বিরাটকে। অনেকেই লিখেছেন, 'ব্যাট বল মারার জন্য। বাক্সে মারার জন্য নয়।'


আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে নিজেদের অস্ত্রে নিজেরাই ঘায়েল টিম ইন্ডিয়া? প্রশ্ন তুলছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার





আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।