রাঁচি: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) নেতৃত্বেই তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল। বাকিটা ইতিহাস। ২০০৪ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর বাকিটা ইতিহাস। ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর আগে দেশের জার্সিতে সবচেয়ে সফল অধিনায়ক হয়ে উঠেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (Mahendra Singh Dhoni)। বিশ্বের অন্য়তম সেরা ফিনিশার ছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে দুটো বিশ্বকাপ, একটি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, পাঁচটি আইপিএল ট্রফি জিতেছেন। ২০০৮ সালে সৌরভ যখন তাঁর কেরিয়াের শেষ টেস্ট খেলছেন, তখন ধোনিই ক্যাপ্টেন জাতীয় দলের। নাগপুরে শেষ ম্য়াচে ধোনির নেতৃত্বেই প্রিয় প্রাক্তন ভারত অধিনায়ককে গার্ড অফ অনার দিয়েছিল ভারতীয় দল। শুধু তাইই নয়, শেষ ম্য়াচে কিছুক্ষণ সৌরভকে নেতৃত্বভার সামলানোর অনুরোধও করেছিলেন ধোনি। সেই মতই প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্য়াচে কিছুক্ষণ নেতৃত্বভারও সামলেছিলেন।
২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন সৌরভ। ২০১৯ সালে ধোনিও সরে দাঁড়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। ধোনি আইপিএলে খেলেন এখনও। অন্যদিকে খেলা ছাড়ার পর সৌরভ বোর্ড সভাপতি হিসেবে কাজ সামলেছিলেন। আইপিএলেও যুক্ত ছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন ধোনি। সেখানেই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে সৌরভকে তাঁর শেষ ম্য়াচে নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কী ভেবে? বিশ্বজয়ী প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক বলেন, ''ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়ক ছিলেন সৌরভ। দেশের জার্সিতে এত স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বে দেশের ক্রিকেটে অনেক উজ্জ্বল মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল। তাই আমরা চেষ্টা করেছিলাম ওঁনার শেষ ম্য়াচটিকেও স্মরণীয় করে রাখতে। দীর্ঘদিন দেশের জার্সিতে অধিনায়কত্ব করেছেন। তাই আমি চেয়েছিলাম অন্তত ১৫-২০ মিনিটও যদি ওঁনাকে নেতৃত্বভার তুলে দেওয়া হয়, তাহলে তা অত্যন্ত সম্মানের হতে পারে।''
বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও সৌরভের নেতৃত্বেই ভারতীয় ক্রিকেটে নবজাগরণ হয়েছিল। দু হাজার পরবর্তী সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটের কালো অধ্যায় থেকে দলকে ঘুরিয়ে এনেছিলেন তিনি। সৌরভ ভারতীয় ক্রিকেট দলকে ১৯৬ ম্য়াচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৯৭ ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ভারত। ৭৯ ম্য়াচে হারতে হয়েছিল টিম ইন্ডিয়াকে। ১৫ ম্য়াচ ড্র হয়েছিল। ২০০৩ সালে সৌরভের নেতৃত্বে ভারতীয় দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছিল। যদিও রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় টিম ইন্ডিয়াকে।