দুবাই: তাঁর কাছে যেন শাপমোচনের রাত। ম্যাচের শুরুতে সাহিবজাদা ফারহানের সহজ ক্যাচ ফেলে দেওয়ার অনুতাপ যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছিল অভিষেক শর্মাকে (Abhishek Sharma)। ব্যাট হাতে পরে তিনি ভারতকে জেতালেন। 

Continues below advertisement

পাকিস্তান ইনিংসের প্রথম ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যর বলে সাহিবজাদা ফারহানের লোপ্পা ক্যাচ ফেলেছিলেন অভিষেক। ফারহান তখন শূন্য রানে ছিলেন। সেই ফারহানই ৪৫ বলে ৫৮ রান করে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ স্কোরার। হাফসেঞ্চুরির পর ব্যাটকে বন্দুক হিসাবে ধরে শূন্যে গুলি চালানোর ভঙ্গিতে সেলিব্রেশন করে যিনি বিতর্কে জড়িয়েছেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে রান তাড়া করতে নেমে ৩৯ বলে ৭৪ রান করে অভিষেক যেন প্রায়শ্চিত্ত করলেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন অভিষেকই। তিনি বলেছেন, 'আজ খুব সহজ ম্যাচ ছিল। ওরা যেভাবে কোনও কারণ ছাড়া আমাদের দিকে তেড়ে আসছিল, আমার মোটেও ভাল লাগেনি। সেই সময়ই ঠিক করি ওদের প্রত্যাঘাত করব। আমি দলের হয়ে অবদান রাখতে চেয়েছিলাম।' পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে ব্যাটিং করার সময় বারবার উত্তপ্ত বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়ছিলেন অভিষেক। যদিও বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমিও ছাড়তে রাজি নন তিনি।

Continues below advertisement

ওপেনিং জুটিতে অভিষেক ও শুভমন গিল - পঞ্জাবের হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা দুই তরুণ ৯.৫ ওভারে ১০৫ রান তুলে ম্যাচের ভাগ্য সাজিয়ে দিলেন। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে ভারতকে ম্যাচ জেতালেন তিলক বর্মা (১৯ বলে অপরাজিত ৩০ রান), সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ড্যরা। ১৮.৫ ওভারেই লক্ষ্যপূরণ ভারতের। ৭ বল বাকি থাকতে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নিল ভারত। ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে শুরু করল সুপার ফোর পর্ব।  

 

শুভমনের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ম্যাচের শেষে অভিষেক বলেছেন, 'স্কুলে পড়ার সময় থেকে আমরা একসঙ্গে খেলি। একে অপরের সঙ্গ আমরা উপভোগ করি। আমরা ভেবেছিলাম এই কাজটা আমরা করতে পারি আর আজ ছিল সেই দিন। যেভাবে শুভমন ওদের ফিরিয়ে দিচ্ছিল, আমি খুব উপভোগ করি। এরকম আগ্রাসী কেউ খেলছে মানে দল তার পিছনে রয়েছে, সমর্থন করছে। সেই মানসিকতাই আমি দেখিয়েছি। প্রস্তুতিতে খুব জোর দিয়েছিলাম। দিনটা যদি আমার হয়, তাহলে দলকে জেতাবই।'