সেঞ্চুরিয়ন: সুপার স্পোর্ট পার্কে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছিলেন মার্কো জানসেন। বুধবারের আগে পর্যন্ত টি-২০ ক্রিকেটে যাঁর সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ২১ রান। সেই প্রোটিয়া পেসারই এদিন ১৬ বলে যখন হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন, ভারতীয় শিবিরের মেরুদণ্ড বেয়ে যেন হিমেল স্রোত নেমে গেল (India vs SA)। ২১৯/৬ তুলেও কি শেষ পর্যন্ত পরাজয় হজম করতে হবে? ব্যর্থ হবে তিলক বর্মার দুরন্ত সেঞ্চুরি?
হার্দিক পাণ্ড্যর ১৯তম ওভারে ২৬ রান তুলে সব হিসেব নিকেশ ওলট পালট করে দেওয়ার শঙ্কা জাগিয়েছিলেন জানসেন। বল হাতে যিনি প্রথম ওভারেই সঞ্জু স্যামসনকে ০ রানে ফিরিয়ে বিরাট ধাক্কা দিয়েছিলেন ভারতকে। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জেতার জন্য প্রয়োজন ছিল ২৫ রান। সূর্যকুমার বল তুলে দিলেন অর্শদীপ সিংহের হাতে। তাঁর দ্বিতীয় বলও কি না মাঠের বাইরে ওড়ালেন জানসেন!
তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি। অর্শদীপের বলেই এলবিডব্লিউ হলেন জানসেন। ১৭ বলে ৫৪ রান করে। একটা সময় ডেথ ওভারে অর্শদীপের বোলিং নিয়ে প্রবল সমালোচনা চলত। সেই অর্শদীপই এখন ডেথ ওভারে ভারতের সম্পদ হয়ে উঠেছেন।
ভারতের ২১৯/৬ স্কোর তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা আটকে গেল ২০৮/৭ স্কোরে। ১১ রানে ম্যাচ জিতে চার ম্যাচের সিরিজে ২-১ এগিয়ে গেল ভারত। সেই সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে গেল, ভারত এই সিরিজ হারছে না। শেষ ম্যাচ জিতলে সিরিজ সূর্যকুমার যাদবদের। যদি ভারত হেরেও যায়, সেক্ষেত্রে সিরিজ অমীমাংসিতভাবে শেষ হবে।
ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল ভারতের দুই ব্যাটার - অভিষেক শর্মা ও তিলক বর্মার। ২৫ বলে ৫০ রান করলেন অভিষেক। ৫৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত রইলেন তিলক। ০/১ হয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে দুজনে ৫০ বলে ১০৭ রান যোগ করে দলের স্কোরবোর্ডে রান ওঠার গতিকে থার্ড গিয়ারে নিয়ে যান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮ ওভারে ১৬৯/৬ হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শেষ ২ ওভারে ৩৯ রান যোগ করলেও ম্যাচ জেতাতে পারলেন না জানসেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের ভারতীয় দলে সুযোগ, পা মাটিতে রেখে চলতে চান বাংলার পেসার যুধাজিৎ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।