গুয়াহাটি: যে পিচে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ২০১ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল ভারত। সেই পিচেই এখনও পর্যন্ত পাঁচশোর বেশি লিড নিয়ে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা শিবির। লাঞ্চের বিরতির আগে ৫০৮ রানের লিড নিয়ে নিয়েছ প্রোটিয়া শিবির। ৪ উইকেট খোয়ালেও বোর্ডে ২২০ রান তুলে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দে জোর্জি অর্ধশতরান মিস করলেও ত্রিস্টান স্টাবস কিন্তু পঞ্চাশের স্কোর পেরিয়ে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ক্রিজে আছেন উইয়ান মুল্ডার। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বোর্ডে ২৬০ রান তুলে ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ভারতের সামনে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা পাহাড়প্রমাণ ৫৪৯ রানের।

Continues below advertisement

তৃতীয় দিনের শেষে যখন মাঠ ছাড়ছিলেন ক্রিকেটাররা, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াটিং করতে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে বোর্ডে ২৩ রান তুলেছিল। ভারতীয়দের থেকে ৩১০ রানে এগিয়ে ছিল প্রোটিয়া শিবির। সেখান থেকে দুই ওপেনার মারক্রাম ও রিকেলটন এদিনের খেলা শুরু করেন। চতুর্থ দিনের পিচ। তাই পন্থ দ্রুত আক্রমণে নিয়ে এসেছিলেন দলের তিন স্পিনারকে। জাডেজা, কুলদীপ ও সুন্দরের কাঁধে ছিল দ্রুত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্য়াটিং লাইন আপকে ধ্বংস করা। যার শুরুটা ভালই করেছিলেন তাঁরা। বিশেষ করে জাডেজা। এদিন ৪ উইকেটও তুলে নেন তিনি। এমনকী দুই ওপেনারকেও ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সৌরাষ্ট্রের অলরাউন্ডারই। ওয়াশিংটন সুন্দর তুলে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। এছাড়া আর কেউ সেভাবে সফল হতে পারেননি। প্রোটিয়া ব্য়াটিং লাইন আপের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জল ছিলেন ত্রিস্টান স্টাবস। তিনি ৯৪ রানের ইনিংস খেলেন।

Continues below advertisement

দ্বিতীয় দিন খেলার শেষে ভারতের রহস্য স্পিনার কুলদীপ যাদব তো জানিয়েই দিয়েছিলেন যে, গুয়াহাটির পিচ হাইওয়ের মতোবোলারদের জন্য কিছুই নেই। সেই পিচেই সোমবার গতির আগুন ছোটালেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার মার্কো জানসেন। ৬ উইকেট নিয়ে তছনছ করে দিলেন ভারতের ব্যাটিং। ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে গেল মাত্র ২০১ রানে। তবে ভারতকে ফলো অন করায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজেরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছে। তৃতীয় দিনের শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংসের স্কোর ২৬/০। সব মিলিয়ে ৩১৪ রানে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। রবিবার যে ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতা ফেরানোর স্বপ্ন দেখছিল ভারত, মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই ম্যাচই বাঁচানোর লড়াই ঋষভ পন্থদের।