জোহানেসবার্গ: সকালটা দেখলেই বোঝা যায় সারাটা দিন কেমন যাবে..এই বাংলায় প্রবাদটা জোহানেসবার্গে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের ব্য়াটিং দেখার পরই মনে হয়েছিল সত্যি হয়ে যাবে। চতুর্থ টি-টোয়েন্টি ম্য়াচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২৮৩ রান বোর্ডে তুলে ফেলেছিল টিম ইন্ডিয়া। স্যামসন, তিলকের মারমুখি ব্যাটিং, জোড়া শতরানের ওপর ভর করে পাহাড়প্রমাণ রান বোর্ডে তোলে দল। মনেই হয়েছিল যে অতিরিক্ত কোনও অঘটনা না হলে এই ম্য়াচ ভারতই জিততে চলেছে। ঠিক তেমনটাই হল। ২৮৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৪৮ রানে অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
২৮৪ রানের লক্ষ্যমাত্রা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কিছুটা অস্বাভাবিকই বটে। চাপে পড়ে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওবারের তৃতীয় বলেই অর্শদীপের আঘাত। খাতা খোলার আগেই ফিরে যান রেজা হেন্ড্রিক্স। ওপর ওপেনার রিকেলটনকে ফিরিয়ে দেন হার্দিক। অধিনায়ক মারক্রাম ৮ রানের মাথায় অর্শদীপের শিকার হয়ে ফেরেন। ক্লাসেনকেও খাতা খোলার সুযোগ না দিয়েই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান অর্শদীপ। একটা সময় মাত্র ১০ রান বোর্ডে তুলতেই ৪ উইকেট খুঁইয়ে ফেলেছিল প্রোটিয়া বাহিনী। সেখান থেকে ত্রিস্টান স্টাবস ও ডেভিড মিলার মিলে দলের হাল ধরেন। স্টাবস ৪৩ রান করে বিষ্ণোইয়ের বলে আউট হয়ে ফেরেন। ৩৬ রানের ইনিংস খেলে ডেভিড মিলার বরুণ চক্রবর্তীর শিকার হয়ে ফেরেন। একটি উইকেট নেন রমনদীপ। ২ উইকেট নেন অক্ষর পটেল। শেষ পর্যন্ত ১৮.২ ওভারে অল আউট হয়ে যায় প্রোটিয়া শিবির।
এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সূর্যকুমার যাদব। জোহানেসবার্গের বিখ্যাত ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে প্রলয় চালালেন সঞ্জু স্যামসন ও তিলক বর্মা। সঞ্জু ৫১ বলে সেঞ্চুরি করলেন। তিলক করলেন ৪১ বলে সেঞ্চুরি। দুই ব্যাটারের দাপটে ভারত বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা চতুর্থ টি-২০ ম্য়াচে রেকর্ডের বন্যা। রানের পাহাড়ে ভারত। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত তুলেছিল ২৮৩/১।
জোহানেসবার্গে সেঞ্চুরি করে স্যামসনের কীর্তি স্পর্শ করলেন তিলকও। আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেছিলেন। এদিন ফের সেঞ্চুরি করলেন তিলক। পরপর দুই টি-২০ ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ভারতের দ্বিতীয় ব্যাটার তিলক। অন্যদিকে এক ক্যালেন্ডার বর্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বাধিক তিনটি শতরান হাঁকানো একমাত্র ভারতীয় ব্য়াটার হয়েছেন সঞ্জু স্যামসন।