জোহানেসবার্গ: উফ! এরকম কেউ মারে? ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরাও বোধহয় খেলা দেখতে দেখতে এই কথাই ভাবছিলেন। নইলে একটা ম্য়াচে এভাবে সেকেণ্ডের মধ্য়ে জোড়া সেঞ্চুরি ২ ভারতীয়র ব্যাটে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে সঞ্জু স্যামসন ও পরে তিলক ভার্মা। দুজনেই সেঞ্চুরি হাঁকালেন। ওপেনিংয়ে নেমে প্রথমে ৫১ বলে শতরান পূরণ করলেন স্যামসন। এরপর তিন নম্বরে নেমে ৪১ বল শতরান হাঁকালেন তিলক ভার্মা।
সিরিজের প্রথম ম্য়াচে ডারবানে সঞ্জু স্যামসন সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এদিন জোহানেসবার্গেও সেঞ্চুরি হাঁকালেন। কিছুদিন আগেই সঞ্জুর বাবা অভিযোগ এনেছিলেন রোহিত, দ্রাবিড়দের বিরুদ্ধে। তাঁরা নাকি সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেননি স্যামসনকে। তবে গম্ভীর জমানায় টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে নামার সুযোগ পাচ্ছেন। সূর্যকুমার যাদবের সমর্থনও পেয়েছেন। যা দ্রুত কাজে লাগাচ্ছেন কেরলের এই ব্যাটার। নিজের টি-টোয়েন্টি কেরিয়ারের তৃতীয় শতরান হাঁকিয়ে ফেললেন স্যামসন। এদিন অভিষেক শর্মার সঙ্গে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন। দুজনেই চালিয়ে খেলা শুরু করেন। অভিষেক ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। এরপরই শুরু হয় জোহানেসবার্গে স্যামসন-তিলকের ব্যাটে তাণ্ডব। তিন নম্বরে নামা তিলক আরও বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। সূর্যকুমার যাদবের কাছে আগের ম্য়াচে তিন নম্বরে নামার অনুরোধ করেছিলেন। অধিনায়কের সম্মতিতে মাঠে নেমেই কেরিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক শতরান হাঁকান। আজও তিনে নেমেছিলেন। আজও হতাশ করলেন না। মারকাটারি ব্যাটিং শেষে অপরাজিত হয়েই মাঠ ছাড়লেন। নিজের শতরান তিনি পূরণ করলেন ৪১ বলে। কুড়ির ফর্ম্য়াটে ভারতীয়দের মধ্যে তৃতীয় দ্রুততম যা। আগে আছেন রোহিত ও স্যামসনই। এদিন তিলক ৪৭ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত হয়ে মাঠে ছাড়েন। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৯টি বাউন্ডারি ও ১০টি ছক্কায়।
অন্যদিকে স্য়ামসনও পিছিয়ে ছিলেন না। তিনি ৫৬ বলে ১০৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ৬টি বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা হাঁকান কেরলের ডানহাতি ব্যাটার। এক ক্যালেন্ডার বর্ষে কুড়ির ফর্ম্য়াটে এর আগে কোনও ভারতীয় ব্যাটার তিনটি শতরান হাঁকাননি। সেই তালিকায় শীর্ষে এবার স্যামসনই। বাংলাদেশের পর প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে দুটো শতরান। দুজনের ব্যাটিং তাণ্ডবে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ২৮৩ রান তুলে নেয় ভারতীয় দল।