দুবাই: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (Womens T20 World Cup) নিজেদের দ্বিতীয় ম্য়াচে অবশেষে জয়ের মুখ দেখল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল (Indian Womens Cricket)। প্রথম ম্য়াচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে যেতে হয়েছিল। দ্বিতীয় ম্য়াচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিলেন ভারতের মেয়েরা। এই নিয়ে আইসিসি ইভেন্টে টানা ১০ বার জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান বোর্ডে তুলে নিয়েছিল। রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ভারত।


১০৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা। আগের ম্য়াচে কিউয়িরা বোর্ডে অনেক রানই যোগ করেছিল। যা তাড়া করতে নেমে ধস নেমেছিল ভারতের ব্যাটিংয়ে। কিন্তু এবার ভারতের বোলাররা আঁটোসাঁটো বোলিং করেন। তার জন্য ১০৫ রানের বেশি বোর্ডে তুলতে পারেনি পাকিস্তান। রান তাড়া করতে নেমে এদিন ভারতের ২ ওপেনার শেফালি ও স্মৃতি ভালই শুরু করেছিলেন। কিন্তু স্মৃতি মাত্র ৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। শেফালি ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। মিডল অর্ডারে জেমিমা ও হরমনপ্রীত মিলে জয়ের পথ সহজ করে দেন। জেমিমা ২৩ রানে আউট হন। হরমনপ্রীত ২৯ রানের মাথায় চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন। মনে হচ্ছিল ঘাড়ের ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। তবে ম্য়াচে জয় ছিনিয়ে নিতে কোনও সমস্য়া হয়নি ভারতের।


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পাকিস্তান ক্যাপ্টেন ফাতিমা সানা। ম্য়াচের প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন ভারতের রেনুকা ঠাকুর। তিনি বোল্ড করে দেন গুল ফেরােজাকে। খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তিনি। এরপর ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকেন পাকিস্তানের ব্যাটাররা। উইকেট কিপার ব্যাটার মুনিবা আলি ওপেনিংয়ে নেমে ১৭ রানের ইনিংস খেলেন। মিডল অর্ডারে কোনও ব্যাটারই ছাপ ফেলতে পারেননি। আশা শোভানা মাঝে একটি সহজ ক্য়াচ মিস করেন। ভারতের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল অরুন্ধতী রেড্ডি। তিনি ৩ উইকেট নেন। ভারতের রেনুকা ঠাকুর ও শ্রেয়াঙ্কা পাতিল ২টো করে উইকেট নেন। তবে সবচেয়ে ইকনমিকাল বোলার ছিলেন রেনুকাই। পাক অধিনায়ক ফাতিমা ১৩ রানের ইনিংস খেলেন। পাক দলের হয়ে সর্বােচ্চ রান করেন নিদা ডার। ৩৪ বলে ২৮ রান করে আউট হন তিনি।