বার্বাডোজ: ফেন্সিংয়ের বাইরে তখন সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে মহম্মদ সিরাজ, সঞ্জু স্যামসন, যশস্বী জয়সওয়াল। কুড়িতম ওভারে হার্দিক পাণ্ড্যর (Hardik Pandya) শেষ বলটা করার পরই বাঁধভাঙা উল্লাস বার্বাডোজে। কে বলবে এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠ? দেখে মনে হতেই পারে ওয়াংখেড়ে বা ইডেন গার্ডেন্স। চারিদিকে আতজবাজি শুরু। মাঠে লুটিয়ে পড়ছেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। তাঁকে দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরছেন জয়সওয়াল, স্যামসনরা। বিরাট কোহলি, হার্দিক পাণ্ড্যদের চোখে জল। মাঠের বাইরেই কাঁদতে কাঁদতে বসে পড়েছেন মহম্মদ সিরাজ। স্টেডিয়াম জুড়ে দেশের তেরঙ্গা। আর লুপে বাজছেন লেহরা দো....লেহরা দো...ভারত আবার জগতসভায় শ্রেষ্ঠ আসনে। ১১ বছর পর আইসিসি ট্রফি। ১৩ বছর পর বিশ্বজয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে রোহিত শর্মার নেতৃত্বে খেতাব ঘরে তুলল ভারত। ২০০৭ সালের পর ফের কুড়ির ফর্ম্যাটে বিশ্বজয় ভারতের। মহেন্দ্র সিংহ ধোনির সঙ্গে একই সারিতে নিজের নাম লেখালেন রোহিত শর্মা।


ভীষণভাবে চেয়েছিলেন গত বছর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জিততে। টুর্নামেন্টে নামার আগে সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন চকচকে ট্রফিটা ছাড়া আর কিছু দেখছেন না তিনি। অল্পের জন্য ১৯ নভেম্বর তিনি পারেননি ট্রফিটা জিততে। তবে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আর কোনও ভুল করা চলবে না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ফাইনালে নামার আগের দিনও বলেছিলেন আমদাবাদ মহারণ অতীত। সামনে তাকাতে চান। আর শনিবার রাতে ভারতের বিশ্বজয়ের পরই নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি হিটম্য়ান। মাঠে শুয়ে পড়ে চাপড় মারছিলেন মাঠে। কতটা জেদ ছিল এই ট্রফি জয়ের। অন্য়দিকে ক্যামেরা তাক করছিল বারবার বিরাটের দিকে। চোখে জল কিং কোহলির। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক কোহলিকে দেখা গেল, মাঠ থেকেই মোবাইল ফোনে ভিডি করল করেছেন। ফোনের অপর প্রান্তে কে ছিল, বোঝা না গেলেও এটুকু বোঝা গিয়েছে যে, কন্যা ভামিকা, পুত্র অকায়ের সঙ্গে খুনসুটি করছেন কোহলি। জিভ বার করে ভেঙাতেও দেখা যায় কোহলিকে। তারপর গলায় ঝোলানো বিশ্বজয়ীর পদককে চুমু খান কোহলি। খানিক পরেই তাঁকে দেখা যায়, ভিডিও কলে মেয়েকে ধরে জাতীয় পতাকা দোলাচ্ছেন। কোহলির সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে।


অক্ষর পটেল, হার্দিক পাণ্ড্যরাও কেঁদে ফেলেছেন বিশ্বজয়ের আনন্দে। আজ গোটা রাত জাগবেন তাঁরা। গোটা রাত জাগবে গোটা ভারতবাসী।