রাঁচি: বলের গতিতে তিনি মাঠে আগুন ছোটাতেন। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে।


ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন ঝাড়খণ্ডের ক্রিকেটার বরুণ অ্যারন (Varun Aaron Retirement)। ২০২৩-২৪ মরশুমের শেষে তিনি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। বিজয় হাজারে ট্রফি থেকে ঝাড়খণ্ড ছিটকে যাওয়ার পর এবার সব ধরনের ক্রিকেট থেকেই অবসর নিলেন ডানহাতি ফাস্টবোলার। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ঝাড়খণ্ডের জার্সিতে ৪টি ম্যাচ খেলেছিলেন বরুণ। ৫৩.৩৩ গড়ে ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন।


ইনস্টাগ্রামে বরুণ লিখেছেন, 'গত ২০ বছর ধরে আমি প্রত্যেক মুহূর্তে বেঁচেছি, শ্বাস নিয়েছি জোরে বোলিংয়ের জন্য। আজ আমি প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে অবসর ঘোষণা করছি। যেদিন আমি সেই খেলাটাকে বিদায় জানাচ্ছি যে খেলায় আমার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছিলাম, এবার আমি জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলোকে উপভোগ করতে চাইব। খেলাটার সঙ্গেও যুক্ত থাকতে চাই। যে খেলা থেকে আমি সব কিছু পেয়েছি। ফাস্টবোলিং আমার প্রথম প্রেম। আর আমি মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দিনও ফাস্টবোলিংই সেই বিষয়টি হয়ে থেকে যাবে যে জিনিসটি আমাকে নির্মাণ করেছে।'


২০১০-১১ মরশুমে বিজয় হাজারে ট্রফি খেলেই প্রথম শিরোনামে উঠে আসা অ্যারনের। তখন তাঁর বয়স ২১ বছর। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করে নজরে পড়েন তরুণ পেসার।


তবে বলের গতির সঙ্গে আরও অনেক বিষয় এসে হাজির হয়। যার মধ্যে অন্যতম - চোট আঘাত। পিঠে স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের জন্য সমস্যায় পড়েন অ্যারন। দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাঁকে। জাতীয় দলের হয়ে ৯টি টেস্ট ও ৯টি ওয়ান ডে ম্যাচ খেলেছেন অ্যারন। তবে ২০১৫ সালে বেঙ্গালুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার পর আর তাঁকে জাতীয় দলের জার্সিতে দেখা যায়নি। সেই টেস্টের চারদিন নষ্ট হয়েছিল বৃষ্টিতে। এক উইকেট পেয়েছিলেন অ্যারন।


আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় দুঃস্বপ্নের সফর! মানসিক শান্তির খোঁজে স্ত্রীকে নিয়ে বৃন্দাবনে কোহলি


অ্যারন বলেছেন, 'বছরের পর বছরের ধরে আমি নিজের শারীরিক ও মানসিক শক্তির সীমার সর্বোচ্চ প্রয়োগ করে গিয়েছি। এমন অনেক চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে যা কেরিয়ার শেষ করে দিতে পারত। জাতীয় দলের ফিজিও, ট্রেনার ও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির কোচদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।'


 






সব মিলিয়ে ৮৮টি লিস্ট এ ম্যাচে ১৪১টি উইকেট নিয়েছেন বরুণ। ৯৫টি টি-২০ ম্যাচে নিয়েছেন ৯৩ উইকেট। ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইপিএলে ৯ মরশুম খেলেছেন বরুণ। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পাশাপাশি কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ও গুজরাত টাইটান্সে।