কলকাতা: আইপিএলে (IPL 2025) কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders) শিবিরের সবচেয়ে বড় তারকা তিনি এই মুহূর্তে। ২০১৮ সালে কেকেআর শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে সাত বছর ধরে কেকেআর শিবিরের নিয়মিত সদস্য়। তিনি রিঙ্কু সিংহ (Rinku Singh)। আইপিএলের গণ্ডি পেরিয়ে গত দেড় বছরে জাতীয় দলের আঙিনাতেও নিজের জাত চিনিয়েছেন রিঙ্কু। ২০২৫ সালে মেগা নিলামের আগে প্রতিটি দল নির্দিষ্ট কয়েকটি খেলোয়াড় ধরে রাখতে পারবেন। সেক্ষেত্রে রিঙ্কুকে কি ধরে রাখবে আদৌ কেকেআর? নাকি অন্য় কোনও দলে যোগ দিতে চলেছেন রিঙ্কু? 


আপাতত কোনও কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে কেকেআর শিবিরে প্রচুর তারকা ক্রিকেটারের উপস্থিতিতে রিঙ্কুর আগামী আইপিএলে কেকেআর শিবিরে থাকার সম্ভাবনা কিছুটা ক্ষীণ করে দিয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রিঙ্কু জানিয়েছেন, তিনি কেকেআরের হয়ে খেলতে না পারলে আগামী আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলতে চান। এখনও পর্যন্ত আরসিবি আইপিএলে কোনও মরশুমে চ্যাম্পিয়ন হয়নি। কিন্তু তবুও এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়েই খেলতে চান রিঙ্কু।


রিঙ্কু সিংহ ও বিরাট কোহলির বনিবনা দারুণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকেই রিঙ্কু কোহলির সঙ্গে খুনসুটি করতে দেখা গিয়েছে। রিঙ্কু বিরাটের থেকে মাঝেমাঝেই ব্যাট নিয়ে থাকেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই আরসিবিতে খেলতে ইচ্ছুক উত্তরপ্রদেশের বাঁহাতি ব্যাটার।


২০১৮ সালের আইপিএলের নিলাম থেকে ৮০ লক্ষ টাক নিয়ে রিঙ্কুকে দলে নিয়েছিল কেকেআর। ২০২২ সালের মেগা নিলামে রিঙ্কুর দর আরও কিছুটা কমে যায়। ৫৫ লক্ষ টাকা দরে রিঙ্কুকে রিটেন করে সেবার নাইট রাইডার্স। ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় এই বাঁহাতি তরুণের। 


এদিকে, আইপিএলের নিলামের আগে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। জল্পনা এক বিশেষ নিয়ম নিয়ে যার জেরে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে 'আনক্যাপড' ক্রিকেটার হিসাবে দলে রাখতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংস।


কোনও খেলোয়াড়া আনক্যাপড হলে, তাঁর দাম আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের থেকে খানিক কমে যায়। আনক্যাপড প্লেয়ার, অর্থাৎ যাঁরা জাতীয় দলে খেলেন না, তাঁদের রিটেন করার সর্বোচ্চ দল ৪ কোটি টাকা। ধোনিকে আগের মরশুমে ১২ কোটি টাকায় দলে রেখেছিল সিএসকে। ধোনি আনক্যাপড হলে হলুদ ব্রিগেডের পার্সে খরচ করার জন্য অনেকটাই টাকা বেড়ে যাবে। ধোনি নাকি নিজেই আনক্যাপড হিসাবে দলে থাকতে চান বলে খবরও রটেছে। একজন দুই বিশ্বজয়ী অধিনায়ক, বিশ্বের সর্বকালের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার কীভাবে আনক্যাপড হিসাবে খেলতে পারেন, সেই নিয়ে জল্পনা, তর্ক-বিতর্ক চলছে।