রাজকোট: টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ব্যাটারদের মধ্যে এই মুহূর্তে ক্রমতালিকায় কেন তিনি শীর্ষে তা আরও একবার বুঝিয়েছেন গতকাল। সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে লঙ্কা বোলারদের পিটিয়ে দুরন্ত শতরান। ৫১ বলে ১১২ রানের ইনিংসে ৭টি বাউন্ডারি ও ৯টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন সূর্যকুমার যাদব। মূলত তাঁর ব্যাটিং তাণ্ডবেই জয়ের ভিত গড়ে নিয়েছিল ভারতীয় দল। ম্যাচের পর ভারতীয় দলের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্যও মেনে নিলেন সে কথা। একই সঙ্গে তিনি বলেন, গোটা ম্যাচটি আসলে হয়েছেন সূর্যকুমার বনাম শ্রীলঙ্কা। 


কী বলছেন হার্দিক?


চলতি সিরিজে ভারতীয় দলের অধিনায়ক হয়েছিলেন হার্দিক। তাঁর নেতৃত্বেই সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জয় পেল ভারত। ম্যাচের পর হার্দিক বলেন, ''দেখে মনে হচ্ছিল যে শ্রীলঙ্কা দল বনাম সূর্যকুমার যাদবের খেলা হচ্ছে। অধিনায়ক হিসেবে আমার জীবনটা অনেক সহজ করে দিয়েছে ও। এই জন্য আমি সবসময় মনে করি সূর্যকুমারের মত ক্রিকেটার জাতীয় দলে সাদা বলের ফর্ম্যাটে খুব দরকার। ও যেভাবে খেলে তাতে বোলারের মনোবল ভেঙে দেয় খুব সহজেই। সূর্যর সঙ্গে রাহুল ত্রিপাঠীর কথাও আলাদা করে বলতেই হবে।''


ভারতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডার আরও বলেন, ''ড্রেসিংরুমে কাউকে কিছু বলতে হয় না সূর্যকুমারকে। ও নিজের প্ল্যান নিয়ে বেশ পরিষ্কার। জানে কীভাবে খেলতে হয়। কেমন করে পারফর্ম করতে হয়। যে ফর্মে সূর্য রয়েছে তার জন্যই এখন ও এই ফর্ম্যাটে সেরা ব্য়াটার।"


অনুশীলনই সাফল্যের চাবিকাঠি


রাজকোটে গোটা ইনিংসে একাধিক স্কুপ শট খেলেন সূর্যকুমার, যা দেখে বিশেষজ্ঞ থেকে সমর্থক সকলেই মুগ্ধ। সূর্য জানান কঠোর অনুশীলনই তাঁর দুরন্ত ধারাবাহিকতা ও ক্রিকেটের তথাকথিকত 'টেক্সট বুক'র বাইরের শট নিরন্তরভাবে খেলতে পারার আসল কারণ। সূর্য বলেন, 'ম্যাচের প্রস্তুতির সময় নিজেকে চাপের মুখে ফেলাটা ভীষণই জরুরি। অনুশীলনে যতটা চাপে নিজেকে ফেলব, ম্যাচে ততই ভাল খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। এই সবকিছুর পিছনে আমার কঠোর পরিশ্রম রয়েছে। পিছনের দিকে বাউন্ডারিগুলি মাত্র ৫৯-৬০ মিটারের থাকে, তাই আমি সেই বাউন্ডারি পার করার চেষ্টা থাকি। কিছু কিছু সময় তো আগে থেকে কোন শট খেলব তা নির্ধারিতই থাকে। তবে অনেক সময় সেই শট খেলার মতো ঠিক জায়গায় বল না পেলে অন্য শট খেলতে প্রস্তুত থাকতে হয়। আমি সবসময় ফিল্ডারদের মাঝে ফাঁক খোঁজার চেষ্টা করি। দ্রাবিড়ও স্বাধীনভাবে আমায় নিজের খেলাটা খেলতে দেন।'